উদ্ধতস্বভাবকে
যে ছেলেটি আমার ভিতরগাঙে বুনে দিল প্রজাপতি বারান্দা,
তার পায়ে ঈর্ষা জড়ো করি, পাহাড়ভাঙা মেঘ!
সে ছেলের মুখে লেগে আছে মফস্সলি রোদ
স্কুল ফেরত ধানগাছ,
শীত ভোরের গওহরজান
আমি তার বুকের কাছে ক্ষত লিখতে যাই
নরম হয়ে আসে
দিঘিস্নান।
দেখি, পাখসাটের কোলাহল বিছিয়ে সে সূর্যাস্ত রচনা করছে
ঠিক যেন আগামীর সিন্ধু-ভৈরব…
পিতৃপক্ষ, কবিপক্ষ
বাবার মুখ মনে করি, তুমি বেড়ে ওঠো স্থলপদ্ম ঘেঁষে
ঈষৎ কণ্ঠা জাগা চেহারা, দৃঢ় চোয়াল
আদুর-গা জুড়ে বয় খোয়াবস্বভাব, বইগন্ধ
সাদা ধুতির খুঁটে লেগে থাকে বেলাল ধুলোস্তূপ
সুদূর হাওয়া, কতযুগ ধরে ভাঙলে এ জল, পরিচয়!
সে-ও তো বাবারই মতো, 'রাই' ডাকটি বুকে নিয়ে
ফিরে আসে শহরপ্রান্তে, উঠোনে
আমি যেন মা-জন্ম —
ধূপস্নান পেরিয়ে সন্ধে নামাই, শীতের কাঁটা
খুদকুঁড়ো
হা-হা রবে ডুবে যায় সংসার, অশান্তি, স্বলাজ ও শ্রী-গান
তুমি যুবক, ভাতের দলা তুলে দাও
পরম খিদেয় মেখে
পিতৃস্নেহটি ঝরে, ঝরে যায় রাঙাজ্বর, অসুখ।
গর্ভে বীজ আসে
ভরে যায় খেদ, বইয়ের তাক, অন্নসংস্থান, বাংলা কবিতা আমার…