ডুব
পুকুরে চাঁদের ঘাই, সুদীর্ঘ ভয়ের বাঁকা ডাল
সরু সরু ছায়া দিয়ে বুনে দেয় জরির কঙ্কাল
এই ভয় ক্লান্ত করে, ঠোঁটে রক্ত মোছে এই ভয়
ফিরে আসব এমন সময়
কে যেন হাওয়ার রশ্মি দু’মুখো আঁচলে বেঁধে টানে
কে জানে এগোব কি না পিছোব না তাই বা কে জানে
দুপায়ের কান্নাকাটি পড়ে থাকে আঁধার-বাগানে
এই ভয় মৃত্যুমুখী, কিন্তু ভয় দিয়ে ঘেরা জল
বলিনি কখনো, আমি তার মধ্যে ঝাঁপাব প্রবল?
উচ্ছেদ
তুমি কি এখনো কাঁদো, নিজস্ব গোপন অপরাধে?
একেকটা দিন থাকে, উড়তে ভালো লাগে না পাখির
হাতের রেখার মতো চেনা গলি ভুল হয়ে যায়
আলাপেও ভুল হয়, তবু ঝাঁ ঝাঁ বেজে চলে হারমোনিয়াম
কোথায় বসাবে গলা, পরিত্যক্ত সেই হাঁড়িকাঠে,
যেখানে অঝোর রক্ত ঝরে গেছে কিশোরবেলায়?
কিন্তু সে কি আছে আর, যে দিয়েছে অস্বস্তি-সমূহ
তুমি কি এখনো রাখো সাহচর্য, সেই বান্ধবের
তোমাকে সুন্দর করে যে এখন একা একা কুয়াশাপ্রদেশে
নিজের দুহাতে টেনে তুলছে তাজা অনন্ত শিকড়