দোঁহা

পার্থজিৎ চন্দের কবিতা

 

 

জ্যোৎস্নার ভেতর 

আধিদৈবিক জ্যোৎস্নার ভেতরে দাঁড়াও
দেখো খণ্ডহর, প্রজ্ঞাপারমিতা কাকিমা’র স্কুল
সর্বাঙ্গ-পোড়া রমনী সম্পূর্ণ দৃষ্টি দিয়ে খুলে ফেলছে খিলান-দরজা
ভিতরে সার সার শিশু, আধো-ঘুম, ক্ষত থেকে
আগুন উপড়ে শুরু হল শেষ রাত্রি শেষ পাঠ-
মৃত্যু ভয়ের শেষে এই বিদ্যা ত্রয়ী বিদ্যা, মন্ত্র আচ্ছাদন
ছন্দ তীরে শুয়ে আছে মৃত্যু-শোলমাছ

আধিভৌতিক জ্যোৎস্নার ভেতরে দাঁড়াও
দেখো দীর্ঘ পথ
একা একা মৃত্যু পেরিয়ে, শীত-গ্রীষ্ম মেখে
হেঁটে চলে যেতে হবে

ধীরে ধীরে বল্কল খসাও
আচ্ছাদন খোলো

পুরোনো বস্ত্রের মতো ছন্দ
পরিত্যাগ করো



ঘর 

ঘরের ভেতর স্থির হয়ে আছে একটি পাখির গান। শূন্যতা-শোষকযন্ত্র প্রবেশ করেছিল পাখিটির গলার ভেতর… সমস্ত রাগিনী শোষণ করার পর গান-শূন্যতার দিকে বসানো রয়েছে একটি টেবিল। টবের লতাটি জানালার দিকে ঢলে যেতে যেতে ঘরের ভেতর দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অন্ধকার ঘরে গান-শূন্যতার মাটির উপর সে কেমন করে দুলে দুলে নেচে উঠবে ওই পরমেশ্বর পাখিটি’ই জানে। জানে ওই আলনায় খুলে রাখা অন্তর্বাসে মাংসের আভাটুকু নেই; দু’জন দু’জনকে প্রণাম করে বিদায় নিয়েছে। এবার তাকাও তবে ওই মাটির ভেতর পুঁতে রাখা কোটি কোটি বছরের পুরানো, জ্যোতিহীন সূর্যের দিকে… কণা নিয়ে উঠে আসছে অলীক পাখির ঠোঁট… স্তব্ধ গানের ভেতর থেকে আলো এসে তাকে রাঙিয়ে তুলছে আজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন