![]() |
ছবি © রাহুল ভট্টাচার্য/ পিক্সাবে |
সুপর্ণা নাথ
কলমে-ধৃতিরূপা দাস
উৎসবের মূলে কিন্তু ভূগোল, আবহাওয়া। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র যে শরতেরই নাতিশীতোষ্ণতায় দুগ্গাপুজোর স্লট ঢুকিয়ে বাঙালির 'চিরদিনের সেই সুর'এ সুর গাঁথলেন, একে যেন প্রাকৃতিক নির্বাচনই বলা চলে। ততটাই তো পরম এ উৎসব-আবহাওয়া-আমেজ!
আচ্ছা, কতগুলো শরৎ পেরিয়ে আজ এই বাংলাভূমিতে দাঁড়িয়ে ভোগ করছি আরও একটি শরৎকে? তথ্যসাপেক্ষ। তবে আরও আয়াসে-অনায়াসে যা বুঝেছে একবিংশের সকালে বাঙালি-নানাপথে অন্নভোগই ধ্রুব। দশহাতে,দশগুণে ভরিয়ে সংসার মাত করবার দায়, তাগিদ ফুরিয়েছে প্রজন্মের।
শুধু এই আশ্বিনের রোদ,ঘাম,বাতাস রক্তে ঝকঝক করলে উদযাপনের ফাঁক-ফোকড় খোঁজা…দুর্গা সহায় হোন…
নীড় নেই । পাখা আছে প্রজন্মের। পাখা থাকে। বিরাট আকাশে পাখা জাহাজের কাছে কাছে ওড়া… মানুষের কাছে কাছে ওড়া… ঘেঁষে থাকা জৈব-গুহা…
ধরো কুয়াশা ফুটেছে। ধরো ইচ্ছের মতো। এক আদিম শরতে। কেউ কেউ বেখেয়াল রেণু উড়িয়েছে ঠিক। তুমি পিছনে দাঁড়িয়ে দেখো। দেখো কিন্তু…
রমণ হবে রমণ হবেই। জল ডুবানো জলের পায়ে। ম্যাজিক মাছটি বালির হাঁ -এ। অবিশ্বাস্য অস্ত-আলোয় বিকল্প এক উড়াল হবেই।
ভাদ্রের ঝাঁঝে লাল হয়েছে কপাল।
অবন্তীনগরের নৌকো চাপা পড়া চরে এখন নক্ষত্র চোষা ফুল ছড়িয়েছে গর্ভতন্তুজাল।