দোঁহা

অমিতাভ সরকারের কবিতা

 

 
 প্রতিশ্রুতি ও অসাম্য
কতজনকে কথা দিয়েছি, কত কথা রাখতে ভুলে গেছি, কথা রেখেছি বলে কতজনকে কত কথাও শুনিয়েছি। আমার কথা আমার দিকে পা বাড়ায়। আমি বুঝতে পারি না ।


অচেতনে

কোনদিনই আপনাকে ফোন করে পাওয়া যায় না। জানি না কাজের সময় এভাবে ফোন করা উচিত কিনা। আসলে দরকারের সময় ও সব কিছু মনে থাকে না। তবে দরকারটা আপনার না আমার সেটাই যে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।

ফোনটাও বিগড়োচ্ছে। বেশিক্ষণ চার্জ থাকছে না। আর কিছুদিন এ রকম চলতে শুরু করলে ওর পরমায়ু আর কতদিন!


মা

মায়েরা কষ্ট সহ্য করতেই আসে। জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেলেও মুখে কিচ্ছুটি বলবে না। সবাই ভুল করলেও মায়ের যে ভুল হতে নেই। 

এদের অভিধানে পারি না বলে কোনো শব্দ নেই।



অন্তরের অন্তরায়

নিজের মধ্যেই আলো আছে। তবুও আমরা অন্ধকারের পিছনে ছুটে চলি।
বাইরেটাই যখন এত অন্ধকার, ভিতরটায় আর কিভাবে আলো জ্বলবে! 


আমিও ঘুমোতে যাব বলেই বসে আছি।
চাইলেও তো আর ঘুম আসবে না। সবকিছু চেষ্টা করে কি হয়!



পিছুটানে

সেদিন একটু আগেই চলে এসেছিলাম। ওই অবস্থায় তোকে জানানোর কোন উপায় ছিল না। ভেবেছিলাম পরে ফোন করবো। করতে গিয়েও পারলাম না। কি কি বলতাম জানি না। বলার কিছু আর নেই। মুহূর্তগুলো চোখের সামনে ভাসছে। সব কথা বোঝানো যায় না, হয়তো বোঝানো উচিতও না। সামাজিকতার খাতিরে অনেক কিছুই করতে হয়, কিন্তু সেগুলো শুধুই করা। তাতে মনের কষ্ট মেটে না।

স্মৃতিগুলো অনেক ভিতরে জমা রয়ে গেছে। এখন সেগুলো যেন আরো বেশি করে মনে হচ্ছে। সবার ধারণা একরকম না, প্রত্যেকের ধরনটাই আলাদা। তুই যেটা ভালো মনে করবি সেটাই করবি। কে কি ভাবলো বা বললো সেটা আর খুব একটা ভাবার বিষয় বলে মনে হয় না।

রাত্তির অনেক হলো। ঘুমিয়ে পড়। একদিন চিন্তাও হয়তো শেষ হয় এভাবেই।
কষ্টের কোন ঘুম হতে নেই।


আমার বইটা পড়তে পারিস। মামি পড়লে বেশ খুশি হত। 

আমার কবিতাগুলো যে মানুষটা অত মন দিয়ে পড়ত সে আজ কোনখানেই আর নেই।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন