অংশত মেঘলা
রক্তেরা কখনও অপেক্ষা করে না কারো,
ধার ধারেনা অভিজ্ঞতা কিংবা অপমানের,
আমাদের বেহুঁশ বেঁচে থাকার শূন্যপদ পূরন হবেনা কখনও,
আমাদের বাসস্থান জুড়ে সুযোগের কানামাছি,
বরং আলসেমি হও-প্রতারণা বুকে সেঁটে গুরুত্ব দাও বিকাশে,
পৃথিবীর সব আলমারি ভর্তি হয়ে যায়,
আকাশের দিনতারিখ নেই-মেঘের নেই ঠিকানা প্রবণতা,
ভাষায় ভাষায় পাঁজর ঝলসে কথারা,
কী বলতে কী বলে ফেলি, বলি আরেক বোঝে আরেক,
যাপনের মাঠজুড়ে সদ্যোজাত চারা,
শিক্ষার আপেক্ষিকতা আর নেই,
প্রকাণ্ড প্রশ্নচিহ্ন হয়েই বেঁচে আছি,
উত্তরে উত্তরে ছত্রিশ রকমের ভন্ডমী,
লেগে আছি যেচে গেছি,
পথের কোন প্রায়শ্চিত্ত্ব হয় না,
ভুল ভেঙে সঠিক গুছিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
কানুর পরিচিতি
এতো অস্থিরতা ছেড়ে একটু সজল হও কানুনাথ,
তোমাকে ফুল ভেবে গন্ধ শুঁকেছে গতি,
তোমায় হরণ করেছে পশু,
এখন ভাদ্রমাস, কুকুরের সঙ্গমে প্রায়শ্চিত্ত্ব পাও?
তবে কেনো তাকিয়ে থাকো আঁকড়ে বাঁচাদের দিকে,
দুটো চাকা তোমায় ঠেলে নিয়ে যায়-
অফিসিয়াল মেইল খতিয়ে দেখতে গিয়ে ভুলেছো বেঁচে থাকা,
পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে নিজেকে অস্থায়ী করে নেওয়া,
তোমাকে গুগল চেনেনা, তোমাকে সোসাল মিডিয়ায় দিয়েছে একঘরে জীবন ;
কানুনাথ খরচা হয়েছো প্রচুর-
তোমার ইস্তেহারে জটিল জল্পনা নেই যেহেতু,
শেয়ার হয়না ঝড়ের গতির মতো , তবু
এখনও বেঁচে আছো আরেকটা মিরাকেলের আশায়।
তোমারও কি জেদের উপকরণ আছে ?
অনন্ত নিয়েছে ঠিক চিনে অথবা নিতেই পারে জাপটে জড়িয়ে বুকে,
এ রাস্তায় কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার গাড়ি,
এ শহরে যানজট, বেশ্যার ঘামে ভেজা বাড়ি ,
কানুনাথ পকেট ফাঁকা শব্দ পাও?
তবে কেনো প্রাপ্তির গান গাও?
তোমাকে ইচ্ছে ভেবে টেনে নিয়ে ফেলি জলে,
ভিজিয়ে দিয়েছি তবু উষ্ণতা সকাল হলে,
এতো উন্মাদনা তোমার কোথায় পাও -
কানুনাথ তুমি এভাবেই জীবন্ত থেকে যাও।