শারদীয় বৃষ্টি ভেজা নির্লজ্জ শীতল বাতাস
আমি তখন ভালোবাসছিলাম-
তুমুল উন্মাদের মত।
উনজামা-উত্তেজিত আমি, অকাল কবিতা
আর অস্থির পৃথিবী।
বেআব্রু ছিল জানালা আর
দৃশ্যতর কালচে কাঁচ।
জানালায় পর্দার ফাঁক আবিষ্কার
করতে সাহায্য করে আমারই মত
নির্লজ্জ শারদীয়া বাতাস।
ওরাও ছিল ভালবাসার মত উন্মাতাল।
শরৎ বৃষ্টি ভেজা তিরতিরে বাতাস
বিনা অনুমতিতে আমার ঘরে ঢুকে
বেতাল উড়ে-ঘুরে...আর
সানাই বাজায় শ্রুতি মিষ্ট সুরে-
ভালবাসি কবিতা আর অস্থির পৃথিবী।
আমি নির্লজ্জের মত স্বাগত জানাই
মাতাল শারদীয় বৃষ্টি ভেজা বাতাস।
আমাকে ক্ষমা করেনি দীর্ঘ ভালবাসা!
আমি অবশেষে ঘর্মাক্ত চিৎ শুয়ে থাকি।
ক্লান্ত কন্ঠনালীর দ্রুততর প্রশ্বাসে
ফুসফুসে ঢোকে শারদীয় বৃষ্টি ভেজা
তিরতিরে নির্লজ্জ শীতল বাতাস।
ব্যক্তিগত বাতাস হতাম
যদি তোমার প্রেমিক হৈ,
তাহলে তোমার ব্যক্তিগত বাতাস হতাম।
তোমার সুচালো দীঘল নখ রাঙানো তুলি হতাম।
সিঁথির কোণার চুল হতাম আর তোমার সুচারু চোখের
সামনে বারবার এসে ঝুলে পড়তাম।
তুমি আঙুলের কারুকার্য কৌশলে সে চুল টেনে নিয়ে
কানের পেছনে লুকিয়ে রাখতে বারংবার।
যদি তোমার প্রেমিক হবার সুযোগ পাই,
পূর্ণীমার নিটোল গোল চাঁদের জোঁৎস্না হতাম।
তোমার নরম নাকের বেলকনিতে জোঁৎস্না রঙে
কল্পনার আলপনা এঁকে দিতাম আর সুরভী সুবাস ছড়াতাম।
সুযোগ পেলেই তোমার প্রেমিক হয়ে—
স্নিগ্ধ ভোরের আবির রঙের কোমল আলোয়
তোমার দুই ঠোঁট রাঙিয়ে দিতাম।
তোমায় প্রেমের প্রশ্রয় পেলে,
পল্লবিত ফুলের সৌকর্যময় স্নিগ্ধ পল্লব সুধা বিলিয়ে
তোমায় সাজিয়ে দিতাম।
প্রমাণ প্রেমের প্রয়াস পেলে,
বর্ণীল আভা ছড়ানো কনে দেখা কাল
অভিভূত সাঁঝ-সন্ধ্যা বেলা হররোজ উপহার দিতাম।
এক পশলা প্রেমের প্রয়াস পেলে,
মেঘ বৃষ্টি উষ্ণতা বিহীন—
চিরকেলে হেমন্তের হিমেল হাওয়া সমেত
আয়েশি বিকেল বিলিয়ে দিতাম তোমার কল্যাণে।