অরণ্য পেরোনো রাত্রি
ভাঙন ধরেছে সবে,
অন্ত্রে নতুন মোচড়,
যকৃৎ সংশোধনাগার।
আর মাত্র ১২০ দিন।
আয়নাতে দুটো চেহারা,
মুখোমুখি হয়নি কেউ,
হাতের মুঠোয় ক্ষতস্থান।
ভাতের হাঁড়িতে কাঁকর,
গিলেছি শিরিষের আঠা।
গলতে, গলতে, গলতে...
মিথোজীবী খায় শেষ পাতে।
ভাঙন ধরেছে সবে,
জড়ানো দেহে ক্যাকটাস,
কাঁটা বিঁধে যায় ঘাড়ে।
সেই কাঁটায় তাঁর উষ্ণীষ
বানিয়ে হাসেন যীশু।
ক্রুশে তার ভয় নেই।
আর কত ভাঙবে তুমি?
অকস্মাৎ ওল্টালো পাশা।
তারপর জতুগৃহ জ্বলে উঠল।
আমি বারণাবতের শেষ প্রান্তে
দাঁড়িয়ে অরণ্যে পেরোনো রাত্রি
নিরীক্ষণ করি পাথর চোখে।
শিয়রে ঝুঁকে আসে মেঘ...
একলা ঘর, একলা বোতাম
প্রতিধ্বনি চলে গেলে আর ফিরে আসে না,
তাই সেগুলোকে বোতামেই আটকে রাখি।
একলা ঘরে আর কতটুকু পাথর জমা হয়?
ড্রিলের শব্দ নিয়ে আসে এক অন্য সকাল,
চা জুড়িয়ে গেছে, নিস্পন্দ হৃদয়ের মতো।
ঠিকানাহীন। বেদুইন আমার এই শহর,
একলা ঘরে আজকাল আর কেউ আসে না।
একলা বোতাম আর কতটুকুই বা সঞ্চয় করে ?
বেণীআসহকলায় মেশে কিছু প্রতিধ্বনি।
দেওয়ালে ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাওয়া অভ্যেস,
হাহাকার, বিলাপ, সবার রঙ কিন্তু এক।
বাঁধা সুতোয় থাকলে তারা বেশ শান্তি পায়।
তারা আর এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায় না।
এই একলা ঘর, জামার একলা বোতাম
সবাই আয়না মিশে গেলে প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠে।