দোঁহা

শিবানী বাগচীর কবিতা

 

 
মৃত ঘাসফুল
হাঁটু মুড়ে, ডানা ভাজ করে, বসে আছি-
খুঁদ ফোটা অন্ধকারে;
খাঁ খাঁ বিষণ্নতার চাদরে ফুটেছে মৃত ঘাস ফুল!

নোনা জলে বুক ভাসিয়েছি ব‍্যর্থ প্রত‍্যাশায়, 
বুকের পাঁজরে খুঁড়েছি গভীর সুড়ঙ্গ, 
উপচে পড়া টুকরো অবসাদে।

মুঠোয় ভরা ইচ্ছেরা জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো
তাকিয়ে আছে, অলক্ষের পানে-
সহসা সুখের পালঙ্কে নেমে আসে নির্ভার সন্ধ‍্যা!

একদিন মাটিকে আঁকড়ে মাটির সোঁদ গন্ধে 
শুধুই বাঁচতে চেয়েছিলাম, বদলে পেয়েছি শুধুই উপেক্ষা।
তাই আজ আর দূরত্ব মাপিনা?
উদ্বায়ী অভিমানে জীর্ণ কড়িকাঠে আঁকি 
অবসণ্ন সন্ধ‍্যার ছবি; যেখানে রোজ নিয়মে-
সন্ধ‍্যা নামে পাওয়া নাপাওয়ার যতিচিহ্ন এঁকে!



নির্জন নিশ্বাস
     
অতীতটাকে, জল ন‍্যাকরায় মুছে ফেলেও-
দিনের শেষে বুকটা আজও চিনচিন করে ওঠে;
বিষণ্নতার ঘোর, যেন ব‍্যাথার প্রলেপ খোঁজে!

অজস্র বুনো শব্দে খুঁজি একটুকু আশ্রয়;
বুক ভরে নিই নির্জন নির্যাস, 
অন্তর্বাস ছিঁড়ে মেতে উঠি বসন্তের উৎসবে!

মাছগুলো আজও ডাঙায় এসে বেলুন ওড়ায়;
আর আমি বোতাম খুঁজে খুঁজেই কেমন-
জীবনটা কাটিয়ে দিলাম!

তৃষ্ণায় বুক জুড়ে আজও দ্বিধাহীন প্রেম-
ঠোঁটের নিভে যাওয়া দাগে শুধুই তোকে ছুঁই!

ভিজে ওঠার আগেই, সামলে নিই নিজেকে;
যদিও আমি ভিজতে জানি প্রতি ফোঁটায়; 
আমি ভিজি দু হাত ছড়িয়ে।

সত‍্যি যদি দেখা হয় আবার; 
তবে হাবু ডুবু জলসায়, ডুব সাঁতারে-
দুজনে একসাথে ভিজবো ; মনে থাকবে তো?





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন