দোঁহা

দেশিক হাজরার কবিতা



দূরালাপনী

আমাদের কোনদিন দেখা হয়নি আর।
তবুও হাওয়ার গভীরতায়
আটকে পড়ি ধূলিকণার মতো।
ব্যস্ত চাঁদ পূর্ণিমা ধরে আনে আমাদের ছাদে,
আমরা যে যার মতো গায়ে মাখি জ্যোৎস্না স্রোত।
নির্বোধ ভাবে তাকিয়ে থাকি
হাতে না পাওয়ার নক্ষত্রগুলির দিকে
আর দূরত্ব বেড়ে যায় অবচেতন মনে।
একটি তিরতিরে নদী বয়ে যায় বুকের বাম পাশ দিয়ে, ভাঁটফুলের ঘুমুর জাগিয়ে তোলে
পান্ডুলিপির ক্ষয়।
নেমে আসি নিচের তলায়
যান্ত্রিক উপাদানে গড়ে তুলি
স্মৃতিচারণের মুক্তিপথ।
আর দুপুরের বাচাল রোদ্দুর
অর্জুন গাছের শিরদাঁড়া বেয়ে
নেমে এসে বাড়িয়ে তোলে বন্ধুত্বের কোলাজ।
মনে পড়ে যায় আমাদের কোন দিন দেখা হয়নি আর...


রাস্তা

মনসার বাহনের মতো সুদূর বিস্তারিত
ধবধবে একটা রাস্তা। শেষ সীমানা পর্যন্ত বিছিয়ে আছে স্মৃতি। স্মৃতির কোনায় কোনায় লেগে থাকা অল্পবিস্তর মানুষ। এমনই দুর্ভাগ্য ছিল আমার পদ্মপাতার  উপর জলের মতো ছিটিয়ে গিয়েছিলেম বহুদূর। তবুও সেই মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে মনে পড়ে শেষ সীমানায় থাকা বুড়ির আম গাছটা।
তেজপাতার গন্ধ মাখা চালের পায়েস। দুরন্ত লাট্টু ঘোরানোর দৈবশক্তিপ্রাপ্ত দড়ি। সাপের ফণা মতো আমার সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকে এই রাস্তা। আমাকে মনে করিয়ে দেয় বারবার     -

"তোর কথা ছিল মনে রাখার
বুড়ির সাদামাথাটাও"।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন