দোঁহা

আকাশ মামুনের কবিতা



নীল অপরাজিতা

হে নীল অপরাজিতা-
আর কতকাল জানালার গরাদ ফুঁড়ে বাইরে তাকাবে?
এবার বেরিয়ে এসো–আক্লেশে বাহিরটা দেখ
এখানেও প্রেম আছে, আছে নক্ষত্রের সংসার যাপন
রাতের আকাশে যে তারা ছুটে যায় দূর দূরান্তে
সে কি সংসার বিরাগী?
অতটা নিশ্চিত হয়ো না–

হে নীল অপরাজিতা–তুমি নীল কেন?
নীল বেদনার রঙ আমি মানি না
তোমার তো কোন দু:খ নেই–
অপূর্ণতা যা তাতো আরোপিত
বেরিয়ে এসো গরাদ ছেড়ে–বাইরে
তবেই না ঘরকে ঘর মনে হবে–ফেরার টান থাকবে

টানই যদি না থাকে তবে সে কিসের ফেরা?

হাত তো বাড়াতেই পারি, কিন্তু কেন বাড়াবো?
আমার এ হাত তোলে রাখলাম বুকের কাছে
তুমি বরং এসেই হাতটা ধরো
চলে এসো নিজ পায়ে ভর দিয়ে
ঘোষনা কর বায়না সূত্রে আমি বিক্রিত নই
বরং নগদ প্রেম নিয়ে এসো আগামী শীতে

 

কোণবিদ ও হেডমাস্টার

পীথাগোরাসের উপপাদ্যের মতো রাত জেগে তোমার পাঠ নিই
কতটা কৌণিক ভাবে ভূমির চেয়ে লম্বা অতিভূজ আঁকা যায়
কোণ আর জ্যামিতিক মাপজোখে দক্ষ গণিতবিদ আমি
তুমি কড়া হেড মাস্টার–এখন পরীক্ষা দেবার পালা

সূক্ষ্মকোণ আর স্থূলকোণে গণ্ডগোল যাদের তাদের যত ভয়
আমিতো দক্ষ কোণবিদ–আমার কিসের ভয়?
তবুও গলা শুকায়ে আসে, ঘামায়া যাই–কপালে চিন্তার ভাঁজ
আমার মাথায় হাত দিয়ে আশির্বাদ করো হেডমাস্টার

গণিতবিদ ফেল মারলে উইঠা খাড়াইতে পারে
হেডমাস্টার গণিতবিদরে ফেল মারালে খাড়ানের শক্তি থাকে না

হে হেডমাস্টার আশির্বাদ কইরা দাও
সূরা ইউনূস পড়ে নূরানী ফুঁ দিয়া দাও বুকে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন