রাজ-লহু
আমার কী করা উচিত
পুরোনো রক্ত প্রবাহী শিরা উপশিরা গুলোর সহিত?
যারা গুপ্তচরের মতন
-চিন্তা ও মতলব পরিচালনাতে অংশ নেয়?
মই বেয়ে হৃদয়ে কান পাতে!
আব্রু রক্ষার নাম নেই; শোণিতধারাকে
ফেনিয়ে ফাপিয়ে-
বিদ্রোহের বেসাতি কায়েম করে।
মহা কাল পার করে,ক্রমে ক্রমে-
কিসরার অহঙ্কার বা পারস্যের অভিজাত
-নববনিতা রূপে-
মুখের চামড়ার তলে পরিহাস করে।
আমার কী করা উচিত তবে?
প্রচ্ছন্ন
পাঁপড়ি-ঝরা প্রদোষে শশব্যস্ত হরিণীরে ফিরিয়ে দাও অ্যাম্বার, রজকিনী।
রুহানিয়াত রশ্মিচ্ছটায়, যদি এতই পারো তো
জবানে দাও কামিনীরে পঙতি পঙতি সিন্ধু।
পাঁজরে খুউব মেঘ মেঘ বিন্দু আবেগ,
তবু রজকিনী, প্রাণজন বিনে নিস্ফল দিনে-
মন্ত্রহীন ধ্যানে লেখনী যায় থেমে,
ঐ সুরা নেই কৈলাসে, না ফেরদৌসে
দেখেছিলাম যেদিন দংশিল সেদিন
-সে সুরা ছিল আশীবিষে।
লজ্জাজনক প্রয়োজনীয়তা
তুমি আমার জীবনে
অনাকাঙিক্ষত অস্বস্তির মতন-
চিটচিটে আঠাওয়ালা স্টিকারের
-মতো করে স্মৃতিতে লেপ্টে থাকো।
অনেকটা লোক সমাবেশে
-গলার ফাঁকা দিয়ে বেরোনো
ব্রা-য়ের ফিতার মতো, তোমার সুরত
আমাকে ঝাপসা করে রাখতে হয়।
তুমি কোনো ভুল নও তবু ঢাকতে হয়।
স্নায়ু-রোগ
গালের রোদে বিকালের
-ছিটেফোঁটা ,নাকের ডগায় পাখিদের
ঘরে ফেরা-
তোমার নামেই লেগেছিল-
খুব ওম ওম মায়া মত
ভুল করে মাড়িয়ে এসেছি
আমি ভেবে পথের নুড়ি,
আবার আরেকবার বাড়িয়ে রেখো
নরম চোরাবালি।
গুড়ি দেয়া দিনকাল শান্ত তাল রেখে,
কী-যে স্নায়ু বুড়ির রোগ-বিপরীত,
সেদ্ধ করে রাখছে তুলে লাল সমুদ্র চুড়ি,
এমন ঝলসানো গরমকালেও তাই লাগছে ভীষণ শীত।
দুই বুধবার
দন্ডাদেশ পড়ে শোনানোর সময়
-হয়ে এসেছিল প্রায়,
জানা ছিল, শেষটায় হবে মৃত্যুদণ্ড,
রায় পাঠ শেষে দু পক্ষের চোখে জল,
একজন কাঁদে জয়ের স্বাদে,
অপরে মৃত্যুর অভ্যর্থনায়।
দুটি অপরাধ ঘটে গেল,
দুই বুধবারে।
কেউ ভাবলো সেটা খুন,
কারো ভরসা হলো ন্যায়বিচারে।