দোঁহা

শতাব্দী চক্রবর্তীর কবিতা



নীরবতা

আমার জন্য খড়কুটো রেখো
সামগ্রী করে রেখে দেবো টুকরো টুকরো সাজিয়ে
বেঁচে ছিলাম গন্ধ আখরে সিন্ধু জাতক হয়ে
আজও বেঁচে আছি নির্ভাবনায়
সে তো তুমি আছো, না-আছো হয়েই।

নীরবতা নিঃসঙ্গ করেনি আমায়
বরং আরও আরও সমৃদ্ধ করেছে
তুমি হয়তো বলবে, 'এ কেমন কথা?'
আমি বলব, 'এই স্থির এই ধ্রুব,
নীরবতাই যে নিজেকে চেনায়।'
 
চোয়াল শক্ত হবে, আয়না ধরবে মুখের ওপর নীরবতা
নিজের করা ভুলগুলো যাতে দ্বিতীয় পদক্ষেপ না ফেলে
তাই শেখাবে নীরবতা আমার আপন সঙ্গ হয়ে।
দোসর হয়ে, পড়শি হয়ে,
বুকের ভেতর রঙচটানো পালিশ হয়ে।



সোহাগ তুমি আলো দাও

চিরকাল যা ভেবে এসেছি সেই সনাতনী প্রথা
তা ভাঙার সময় এসেছে আজ মধ্য কুয়াশার দেয়াল ঘরে
দ্যাখো, অমানিশা সহ্য হয় না আমার।
কালো অন্ধকার কলোনি তোলে আমার দেহের ভেতর
আজন্ম যে প্রমিক দেখে এসেছি রাতের স্বপ্নে
তার অহংকার, তার নিংড়ে নেয়ার দক্ষতা, তার আস্ফালন
আমি সনাতনী প্রথা মানতে গিয়ে
আমার প্রেমিককে অবহেলা করি কি করে!

যে আমাকে চায় অম্লান ধাতুর মতো আমি জ্বলে উঠি
যে আমাকে চায় নিঃসংকোচে শরণ নিই তার দেহে
আমিও তাকেই তো চেয়েছি বহু ভোরে, বাহু ভ'রে
তাই আমি সাজিয়ে ফেলেছি জ্যোৎস্না বাসর
সোহাগ তুমি আলো দাও আমার প্রাণে, দেহে, প্রেমে
তুমি আলো দাও সোহাগ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন