শীতের বারান্দা
কিছুই তো চাওয়ার নেই, অবেলা—
শুধু তোমার রোদটুকু দিও
নদীটির শরীরে লেগে থাকা মাংসে
আপতকালিন যন্ত্রণা,
পাট ভাঙা শাড়ির মতো পুরাতনী সুবাস
আমি কবিতায় লিখেছি কালবেলা
সীমারেখার নীচে বিষণ্ণ আর্দ্রতা নিয়ে
বারবার পড়ে গ্যাছো শব্দের পাশে শব্দ
ওই দিন দ্যাখা হওয়া সান্ধ্যক্ষণ আর
আজকের মিলিয়ে যাওয়া রাত, একাকার
হয়ে এলো তোমার ভৌগোলিক বুকে
মননের কথা চাপতে চাপতে কখন যেন
হৃদয়ের কথা বলে দিলে
বুঝতেই পারোনি, অথচ
পাশেই দাঁড়িয়ে আছে শীতের বারান্দা…
ইচ্ছে
কথা বলতে বলতে। সন্ধেবেলা ৬:৩৭। ২০ আগস্ট
ছুটে গেছিলাম চৌহদ্দির কাছে। নদীরও বেড়াজাল থাকে তোমার কথায় বোঝা যায়। একবার মনে হয়ে আদরে কাছে ডাকো সন্ধে হোলে। পরক্ষনেই এক ধু ধু মাঠের কিনারায় পড়ে থাকে বৈধব্য পাথর। ঘাট নেই। পুংসকতা নেই। শুধু আলোড়নহীন এক অবাস্তব ধারণার বিস্তৃতি। একে বর্ষার শৈত্য প্রবাহ মনে হলেও, বুঝি তুমি ভাস্কর পড়তেই ভালোবাসো। তাই এসবের পরও কবিতা লেখার শব্দেরা ঘোর করে আসে আঙুলে। যখন প্রতিবেশী কাঠামোর কাছে যাও তখন ভাবনা হয়, অনুষ্ঠান এক তন্দ্রাচ্ছন্ন গোধূলি।