হারানো আপেল
একটা আপেলের দিব্যি
আমি তাকিয়ে দেখিনি সন্ধের রাস্তা-
গাছেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পর
ক্ষয়হীন-
হয়ত পা ফেলতে ভুলে গেছি
মাপা হয়নি বিবস্ত্র আয়নার ওজন
কিন্তু প্রতিবিম্বে জলবসন্ত...
কথা ছিল আপেল কুড়নোর
গুটিয়ে রাখা আছে নির্জন টার্মিনাস-
ছায়াহীন গলিতে সাংকেতিক অপেক্ষা
আপেলটা খোয়া গেছে
এই হারানোর দায় আমি কার ওপর চাপাব?
বাগান ও ডুবন্ত শরীর
কেন বারবার ঘুরে যাই ভরন্ত বাগানে। এখানে তো জেগে আছে কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রমল্লিকা আর গোলাপের নিশি। এখানে মাথা চাড়া দিয়েছে স্রোতস্বিনী পানকৌড়ির ঠোঁট৷ এই সেই খুলে পড়া পাপড়ি যেখানে আমি খুঁজে দেখি পরাগের অধিকার। আসলে এই বাগানেই আমি অনায়াস সূর্যোদয় দেখি৷
এর বাইরে এক ডুবন্ত শরীর আর তীরভেদ করা অজস্র ডানা৷ যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে কেঁদে ওঠা ল্যাংটাপুটো ছেলেটার ক্ষত৷
বেড়াজাল স্পষ্ট। দুপা ফেলে পাঁচিল ডিঙোনোর ছলে ছড়িয়ে দেওয়া দৈনন্দিন ঘাম। আমি এই বাগানে ঢুকতে চেয়েছি রোজ। কিন্তু বেরোনোর সময় চোখে লেগে রয়েছে গেছে খোলস।
অনেকে তাকেই চালসে বলেছে। বলুক৷ আমি বাগানের গোলাপকাঁটায় ঝাঁঝরা করেছি চোখ৷ আর নিরাময়ের ন্যুনতম সম্ভাবনাও অবশিষ্ট রাখিনি অহল্যা।
কৌশিক চক্রবর্ত্তীর কবিতা --‘হারানো আপেল’ এবং ‘বাগান ও ডুবন্ত শরীর’ পড়লাম। দুটি কবিতাই চমৎকার। আবেগ ও মেধার সুন্দর সংশ্লেষ ঘটেছে কবিতাদুটিতে।
উত্তরমুছুন