দোঁহা

আলো বসুর কবিতা



ঘুনি

সাদা পাতার ফরফরে হাসি
কেলো অক্ষরকে ভেঙচি কাটে
হলো না হলো না বলে মজা মারে; মারবেই তো!
লাইন ভেঙে, মার্জিন টপকে ধরতে পারিনি
অদৃশ্য আলো, অশ্রুত বাঁশি...
না ঘরকা না ঘাটকা
অল্প জল খেয়ে বুড়বুড়ি তোলা
তোতলার আধ খাওয়া ভাষা, ফটাস করে উগড়ে দেওয়া  
সব ছেড়ে দেব ভাবি
দীর্ঘ ছুটিতে চলে যাব
একা এবং আমি
যা হবে চোখে চোখে
বাক আর অবাকের দ্বন্দ্ব চিরকালের মত ঘুচিয়ে দিয়ে ঢুকে যাব নির্বাকের ঘরে
ভাবনাই সার...  
ওপর ওপর খলবল, চারা মাছের জাত আমি   
এক ঝাঁক চিকচিকে আলো সজোরে ধাক্কা মেরে নিয়ে এসে ফেলে ঘুনির বেড়ে
লেখার দৌড় ঘুনি পর্যন্ত
সাদা পাতার আদি অন্তের কী জানি আমি!

 

বাংলার ভবিষ্যৎ

কারা যেন বলে গেল বাংলা ভাষা বিলুপ্তপ্রায়
অচিরেই মৃত্যু হবে এর

দু'বার নশ্বর শব্দ উচ্চারণ করলাম

এখন থেকে সময়ের স্বর ধরে রাখার বালাই যখন রইল না

এইবেলা ভূতের উদ্দেশ্যে লিখে যাব কিছু

ভূতের জন্য মৃত ভাষা খুবই মানানসই হবে

ঠিক যেমন আমাদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দান করার সময় বাংলা ভাষার সূতিকাগার মনে পড়ে

সংস্কৃত ভাষায় মন্ত্র পাঠ করি আর কত জীবন্ত হয়ে ওঠেন প্রত্যেকটি মৃত চরিত্র!

বাংলা মরে বেঁচে থাকবে

আমাদের ছেলেমেয়েরা বাংলায় তর্পণ সেরে নেবে বছরে একদিন



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন