ডায়েরি ও গোলাপ
আসমানী তাকে সাজানো মেঘরঙা ডায়েরি-
পুরোনো ও অনন্য;
শুরু ও শেষের পাতাক’টি ছেঁড়া;
বহুকাল খুলে দেখাও হয়নি।
যত্নের আঙুলস্পর্শে
আচানক খুলে গেলে
বেরিয়ে আসে গোলাপ;
সামান্য শিহরে স্রস্ত
শুকনো পাপড়ি হতে
বিনাশব্দে খসে পড়েছে
একটি বিষণ্ন সকাল
একটি উদাস দুপুর
একটি উদ্বেলিত বিকেল
একটি অসম্পূর্ণ রাত।
কিন্তু এদের রাখি কোথায়?
ফ্যামিলি অ্যালবামে ধরে না
ফুলদানিতে রাখার অবস্থাও নেই
আবার ভস্মগাদায় ফেলতে গেলে
ভাঙাকুলোর শেষ-দশা হয় মন!
দুঃসময়ের ডানা
পুরোনো বাগান ঘেঁষে মউ মউ করছে সুদখোর দুপুরের রোদ আর তার ছোঁয়া লেগে ফারাক্কা-প্রযোজিত চৈতী-পদ্মা ডালে বাঁধা ছায়া
এসব দেখে-শুনে এক সবুজ তাড়নায় তোমার কাছে এসেছি;
আমি জানি-এই অজগর সময়ে তুমি কোনো ওয়েলফেয়ার স্টেট নও
তবু শ্যামল-উঠোনের ঐতিহ্যসূত্রে প্রত্যাশা এই যে-
বোশেখী বাগানের এক বিকেল ছায়া বাড়িয়ে কাছে নেবে তুমি;
আমার চেতনায় স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে দেখো-হাঙরের অনিদ্রার মতো
সময়ের অভিশাপ জেগে আছে সারাক্ষণ-ছুটো...ছুটো...ছুটো...
আমি বসে থাকতে গেলে ডানাগুলো ভাঁজ হতে চায় না;
তো শুয়ে থেকেই কাটিয়ে দাও না ভাই!
শুয়ে থাকতে গেলেও যে ভূমিকম্পের দুলুনি লাগে পিঠে!
তো বুঝতেই পারো-এই ঝুলন্ত নিয়তি নিয়েই তোমার কাছে এসেছি
একবার আন্তঃমহাদেশীয় ফ্লাইটের মতো রিফুয়েলিং করে নিতে চাই।
("প্রত্যাশা এই যে-
উত্তরমুছুনবোশেখী বাগানের এক বিকেল ছায়া বাড়িয়ে কাছে নেবে তুমি;")
তপ্ত দুপুরে অসহ্য গরমে যেন এমন এক বিকেল ছায়ার যোগান দিল কবিতা দুটি । অসাধারণ !