কৃত
উৎকর্ষ পেতে চাও? আজ তবে নাও দুই হাত
এই শুরু ভেবে বসে থাকো। অথবা ভাবো এই শেষ
এদেশে তেমন লোক নেই। শুধু জীবন এবং কিছু রাত-
সান্নিধ্য পেয়েছে ভেবে, আমিও গলায় সুরা ঢেলেছি বেশ।
মাতলামি হলো না তবু, প্রভু। রোমে রোমে বরং বিপ্লব
দেবভাষা আয়ত্ত এভাবে করে কি? এসো। উপলব্ধি
করি। আমি তোমাকে দিইনি কী? দিয়েছি তো সব!
শেষে ফুরিয়ে গেলে, চিতার আগুনে নিজের সব দিই।
দেখো। তুমি নেবে না কি না। পুষে রাখা কিছু উল্কি।
সামান্যে কেটেছে যখন, অসামান্য আর কেন চাওয়া?
এটুকু কৃষ্টি আর প্রজাতিবিভেদ। তাতে তেমন ভুল কী?
মুখে ছায়া জড়িয়ে চলো। নিচুমুখে তবু প্রিয় হাওয়া
থেমে থাকে। এবার ‘বিদায় বিদায়।’ ম্যাপল
পাতায় মিশে যায়, দুঃখ, জীবন, ভন্ডামি-
তুমি প্রভু আর কী কী চাও? গণ্ডুষ জল,
তুলে ভাবো: এটুকুই বিপ্লব। উৎকর্ষ। আমি।
আধেক
অনাদরে ভারাক্রান্ত। এলেনা তো তবুও তুমি, হে লাজবউ। ইষ্টনাম জপে গেছ আড়ালে। টলমল, ডগমগ, আড়াল, আঘাত ও আলোর দু'পাত জুড়ে আরও একটু যেন পাপ বেড়ে চলে।
এই হাত শূন্য, শাদা গরীব বামুনের চাঁদপুঁথি, দায়-দায়িত্ব নিয়ে তাও একবার চমৎকারভাবে চমকে দাও আমাদের সবাইকেই অগত্যা, আপন মহিমায়।
মনের পাশা এইসব। ভুল, খুব ভুল, বড়ো ভুলের মতো পাল্টে পাল্টে যায় স্মৃতিচক্র। মন; মনে পড়ে শ্রদ্ধাবনত সেই দিনের কথা? যেন আমি আর নেই সেদিন কোথাও, শুধু মেঘ আর মেঘ ছুঁয়ে গেছি দূরে বহুদূরে কোথাও... রাশির চোখেও এত জল? অথবা একইসাথে যদি বলি, ‘জলেরও এত রাশি?’
সত্যি এসব হয় বুঝি?