১.
আশেপাশে এত আলোমুখ এত বেশি আনন্দপ্রভা
শুধু আমার মুখটিই যেন তুমি নিবিয়ে দিয়েছ পরম প্রত্যাখ্যানে
এমন অমোঘ শাস্তির কালে—লণ্ঠনের আলোর মত
তবু যেন কেউ খুঁড়ে আনে তোমার স্পর্শ— শিখার উত্তরণে ভেসে ওঠে
তোমার অতিশয় মুখ।
বাৎসল্য করেছ ঢের—বাৎসল্য করেছ তোমার সম্ভ্রান্ত দুই হাতে।
তুমি তো জান না কোনোদিন জানবেও না
তোমার চলে-যাওয়া আমার বুকের উপর একটি শুশ্রূষাবৃক্ষ
হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে—অনন্তকাল
২.
মেয়েটির জানালায় কেঁদে মরছে মেঘ
উঠোনে অজস্র নগ্ন আলোগাছ—
স্তব করে চলেছে আকাশের
মেয়েটির গাছ হয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
যারা তাকে কথা দিয়েছিল কপালে লিখে দেবে আলো
যারা কানে কানে বলেছিল হাত ধরে হেঁটে যাওয়া ভাল
যারা শূন্য ঘরে এসেছিল—জলের ফাটলে ভেসে উঠেছিল
অনল।
তারা কোথায়? কোন সমিধে তারা করে চলেছে দৈহিক সিনান?
মেয়েটির চোখে জল আসে। বিদ্যুৎ চমকে ওঠে আকাশে।
এই বুঝি তার চোখ থেকে বেরিয়ে এল দুʼটি সহনশীল শাখা।