বৃষ্টি
কস্তুরীঘ্রাণে বৃষ্টি আসে,
নিহিত পাতাল ছায়া ঢেকেছে গোপন বিষাদ
স্মৃতিদক্ষিণের বারান্দায় বসে থাকা মোহের রেখা;
অক্ষর বিদীর্ণ করে উঠে আসে পাঞ্চালী বিকেল-
বকুল-পলাশের ডালে;
অরণ্যসমুদ্র থেকে সুরধ্বনি ওঠে আকাশ প্রান্তরে।
পুষ্পিত শরীরের গাঢ় তৃষ্ণায়
অগণন নক্ষত্র গলে যায় মগ্নচুম্বনে
প্রলুব্ধ অক্ষর থেকে ছুঁয়ে নামছে
গাঙ্গেয় আত্মরমণ।
নৈঃশব্দের স্বর
পাতার ফাঁকে ফাঁকে মাটিতে লুটিয়ে
আছে নির্বিণ্ন রোদ,
শুকনো পাতার খঞ্জনি বাজায় হাওয়া,
শিশির পড়েছে নাকি ঘাসে? কতটুকু!
পর্ণমোচী বিষাদ ঝরে পড়ে, পত্রমুদ্রায়
সাজাই ধুলার অক্ষর; অলীক প্রকৃতি!
সকলেরই মাঝে মাঝে যেতে হয়
গোপন হাওয়ার কাছে,
ঘনরাতে নদীর কোমল শরীরে বেড়ে উঠে ব্রহ্মচারী চাঁদ
জলে ভাসে খানিক, খানিক আকাশে।