দোঁহা

নীলম সামন্তের কবিতা



উদযাপন শেষ হলে

উদযাপন শেষ হলে আমরা যে যার উঠে দাঁড়াই।
কুঁকড়ে যাওয়া গালিচায়
ফুলের বিচ্ছিন্ন সাম্যবাদ
উপেক্ষা করে পকেটে ভরি ঘুর্ণিঝড় ইশারা।

এর মধ্যে অনেক বিস্ময়
গ্র‍্যাভিটেশনাল পাওয়ার হারিয়ে অযথা ঝুলে থাকে।  মুখোমুখি হাইফেন।  
তৃতীয় বন্ধনীতে বেড়ে চলে প্রেমের অস্থায়ী উদ্দীপনা।

ভালোবাসা রসায়নের সংকোচন নয়।
নয় চোখ ধাঁধানো বিলাস জিওন।
সন্ন্যাস থেকে আরেকটা সন্ন্যাস-পথ-
পথের পাশে বেড়ে ওঠা বোধের সৌন্দর্য।  



সাদা কাঞ্চন

মস্তিস্কের একেবারে ভিতরের দিকে আগুন জ্বলছে
ছড়ানো ছিটনো
দেখা যাচ্ছে না
গন্ধে ভরে যাচ্ছে ছোট ঘর, বড় ঘর
ছাই জমলে রঙ পাল্টায়
মেয়েটি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে
হাতে জলের গ্লাস
আমি বোধহয় কম্বল চাইছিলাম
আগুনে জল পড়লে জ্বালা করে
দৈর্ঘ্য কমে প্রস্থও কমে
যাদের জুড়োবার কথা তারা দু রকমের মাছ দিয়ে ভাত খায়
এসি চালিয়ে কাঁথা মুড়ে ঘুমোয়
বুকের সোজাসুজি টেবিল ফ্যান লাগায়
শুধু জুড়িয়ে যাওয়া জায়গাগুলোয়
সাদা কাঞ্চন ফোটে না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন