দোঁহা

নিমাই জানার কবিতা

 



নীল ঘোড়াদের প্রোটোপ্লাজম ও চন্দন ডগার ল্যাকেসিস
 
৩২.৩৫ বর্গমূল জনিত উপসর্গহীন বৃষ্টিময় যজ্ঞস্থলের প্রাচীন ধড় বিহীন ঘোড়ারা নিপুন জরার অতিলৌকিক প্রদেশে ক্রমাগত রক্তাল্পতা গিলে খাচ্ছেন নীলাভ ঈশ্বরদের সাথে,

এক বিকর্ণ নৌকা আমার পাঁজর খুঁড়তে খুঁড়তে ঠোঁট ছুঁয়ে ফেলে অবৈধ চন্দন ডগার লেকেসিস, বাষ্পীয় অসুখ, লিঙ্গ খন্ড ধারালো শুক্রাশয় তিন প্রোটোপ্লাজম এক গর্ভপাতের নারী
পরমহংস পাখিরা দুই হাতে দক্ষিণেশ্বরের পুরোহিত জীবাশ্ম মাটি খুঁড়ছে

জ্বালানির পত্রজ ইন্ধন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন পশ্চিমবাড়ের কোন গোলাপি রঙের নিপুন ঈশ্বরীয় জাহাজ, সারা দেহে হিমোগ্লোবিনহীন শ্বেতপ্রদরের এক একটি অভিশপ্ত নৌকা, ঝরে পড়ছে খাদক বিছানার নিটোল বিভাজিকা, স্তন ও ময়ূরাক্ষী

ক্ষারীয় সূত্রধরের পঞ্চম লিঙ্গ আমি, থিওফাইলিং পুরুষদের বিটা ক্যারোটিনয়েডস হোমাগ্নি জলে ধুয়ে ধুয়ে রাখি আমার শরীরের চতুর্দশ স্নানাগার ঘাট ও গোলক ব্রহ্মাণ্ড পুর পতি সমগ্রের দেহজ বিষের পাথর, চাঁদ ও শ্বাসকষ্ট
পৃথিবীর মতো বিপ্রতীপ চাঁদের অপাললিক নংতৎপুরুষ গড়ে তোলার জন্য একদল গোলার্ধ বিহীন মেরু রথের রাজসূয় যজ্ঞে আত্মহত্যা ঘটেছিল মন্বন্তরকামী জাইগোট দশার নারীদের সাথে, রজঃস্বলার স্থাণাঙ্ক শূন্য শূন্য নিরুত্তর ঈশ্বরী হয়ে যায়
সাগ্নিক রোদ স্নানের পর আমরা নিজেদের পুড়িয়ে দিচ্ছি বিভাজিকাহীন অস্থি খন্ডক দুই হাতে জমিয়ে রাখার পর

মধ্যরাতে কৃষ্ণমন্ডলে দাঁড়ানো অগ্নাশয়হীন মুখ থেকে কালো রঙের উপবৃত্তাকার জ্যামিতিক ছায়া গুলোর অসুখ সারিয়ে দিচ্ছি হেরোডেটাশের মতো, আমি সারারাত অসম্পৃক্তের চোখ গুলিয়ে খাচ্ছি বেদানা ফলের অন্তরীপ দিয়ে,
প্রজনন অসুখ আর কিছু নয় পাখিদের অন্তঃক্ষরায় গজিয়ে ওঠা দুটো পাথরকুচির ডিম্বফল মাত্র



জরাথ্রুষ্টের ত্রিভুজ ও কঙ্কালের সৈনিক কথা

সামান্তরিক বিষয়ক আমিও জরাথ্রুষ্ট, রক্ত ভেজা তরবারি বিষয়ক সেফিউরিক জিম বৃষ্টিপাতের সাথে বক্ররেখা ময় জোড়াসন্ধের ছবি আঁকছি। ত্রিভুজ চোখের এক্রেলিক ধাতু বীজ দিয়ে

ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো চকচকে সত্যভামা ক্রমাগত নীলাভ সেতারটিকে গলার ভেতরে ঢুকিয়ে রাখার পর দুটো ফুসফুসীয় ধমনী ও জমাট রক্তের দলা পাকানো পদাতিক সৈনিকেরা একে একে ছায়াছবি নিয়ে কঙ্কালের রেতঃপাত আঁকছে
নির্বিষ জলজ ধানক্ষেতে দাঁড়িয়ে নাসরিনের মতো আমি শতদ্রু পুরুষ আমি এক বর্ণহীন পুরুষের জন্য কাঠের ময়ূরী এঁকে দিচ্ছি নিঝুম পরিচ্ছদের নিচে
কাঠের পাখিরা দুই রাত রাধা বল্লভী নৃত্য করছে
অলিন্দের খণ্ড নিয়ে সারারাত শ্রীখোল বাজাচ্ছে শ্মশান মুখী অদ্বৈত শুক্রাচার্যের মতো আমি, লাল আঙ্গুর ফলের মতো মৃত্যুকে দুই হাতে ঝুলিয়ে রেখেছি অযৌন পাললিক অন্ধকারের স্নানের 
মৃত্যুকে জলবিষুবের মত দেখায়

৬৪ ঘনফলের সিআরপি অধ্যুষিত সংক্রমিত ফুসফুসও ডান অলিন্দের কাছে জমা রক্তরসে সরলরেখার দ্বাদশ তঞ্চন ঈশ্বর বসে আছেন, তাদের সর্বাঙ্গ জুড়ে এক একটা গাণিতিক পুঁজ ও রক্তরসের নীলাভ সংক্রমিত প্রদেশ,

লাল টমেটো ফলের মত অপরা সৈন্যেরা পাঁজর খুলে কুরুক্ষেত্রের কবিতা লিখছে পঞ্চম মহাভারত পৃষ্ঠার অন্ধকার উপ অধ্যায়ে, আমার জিভে নগ্ন লকলকে রেবিপ্রাজলের দুটো মৃতজীবী রমন শরীর নিয়ে শুয়ে আছে , শীতল রেতঃদাগের বালকটি একা একা ভৌম প্রদেশে সরলবর্গীয় সাপ রুয়ে দিচ্ছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন