দোঁহা

সুজয় যশের কবিতা




আপাতত কিছু নেই

এ শূন্য দুহাতে কি আছে দেওয়ার?
কিছু স্তব্ধ সময়
কিছু পাথর চাপা নিশ্বাস
আর কিছু মুঠোয় ধরতে চাওয়া বালি।
তুমি মন্দিরে বোবা সংলাপে
বলে দাও কিভাবে রাখব এসব?
পূজারি আগলে আছে পথ,
শূন্য এ দুহাতে কিছু নেই পুজোর সামগ্রী।
যদি চাও তবে দিতে পারি
চোখের কোলে ভেসে থাকা গঙ্গা জল।

এ শূন্য দুহাতে ভরে আছে অপরাধ
কিছু পাপবোধ
কিছু মিথ্যা অহংকার।
একদিন যদি জীবনানন্দর মত মৃত্যু হয়
তখন কি দুহাতে পাব প্রায়শ্চিত্তের ফুল?

এ শূন্য দুহাতে
আপাতত কিছু নেই তোমার জন্য।




অরণ্য

অরণ্যে আমার মুখ দেখিনি কখনো।

কিছু সংখ্যাতত্ত্ব হঠাৎ করেই গাছ হয়ে ওঠে।
হাতির বিষ্ঠার তিব্র গন্ধে
পাখিসুলভ আচরণ চোখে পড়েছিল
জলফড়িং-এর লাল ডানায় ।
অরণ্যে উদ্ভিদ বিজ্ঞান পড়াতে চেয়েছিল
আপনভোলা রঞ্জন স্যার।

সব অরণ্য ফাঁকা ,
সব উদ্ভিদ গোড়া কাটা গাছ হয়ে
ঝালমুড়ির ঠোঙা হয়ে গেছে।

রঞ্জন স্যার এখন ছাদ বাগানে বসে
ক্লোরোফিল তৈরি করেন, পিওর বোটানি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন