দোঁহা

ভিয়েতনাম থেকে '৭১ –কমিকস যখন জনমত তৈরির উপকরণ!



অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

-“হোয়াট ডু ইউ রিগার্ড এ্যাজ দ্য মোস্ট আউটস্ট্যাণ্ডিং এ্যাণ্ড মোস্ট সিগনিফিক্যান্ট ইভেন্ট অব দ্য লাস্ট ডিকেড?”

-“দ্য ওয়ার ইন ভিয়েতনাম স্যর!”

-“আর ইউ এ কম্যুনিস্ট?”

-“আই, আই ডোন্ট থিংক ওয়ান হ্যাজ টু বি ওয়ান ইন অর্ডার টু এ্যাডমায়ার ভিয়েতনাম স্যর!”

-“দ্যাট ডাজ’ন্ট এ্যানসার মাই কোয়েশ্চেন, হাওয়েভার...”

[প্রতিদ্বন্দ্বী, সত্যজিৎ রায়, ১৯৭০]

সংলাপগুলিকে হয়তো সকলেরই মনে আছে। তার চেয়েও বেশি করে বোধ করি মনে আছে ভিয়েতনাম। পৃথিবীর ইতিহাসে যে কয়েকটি সংঘাতের ঘটনা আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চ ছাপিয়ে সাংস্কৃতিক পরিসরেও এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিল, ভিয়েতনামের যুদ্ধ সেগুলির মধ্যে অন্যতম।

 আজকে আমরা কমিকস নিয়ে আলোচনা করতে বসেছি। একটা সময় ছিল, আমাদের ছোটবেলায় কমিকস পড়ার বিষয়টিকে আমাদের গুরুজনেরা বিশেষ ভালো চোখে দেখতেন না। অথচ অক্ষর আর চলচ্চিত্রের এক মাঝামাঝি মাধ্যম হিসেবে কমিকসের ধারণাটি কিন্তু শুরু থেকেই দুর্দান্ত এক দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যম হিসেবে সমাজকে প্রভাবিত করে এসেছে। টিনটিনের বিশ্বজয়ের কাহিনী তো সকলেরই জানা। পাশাপাশি বিখ্যাত হয়েছিল জো, জেট, জোকো’র এ্যাডভেঞ্চার, এ্যাসটেরিক্স-ওবেলিক্সের কাহিনী, অথবা অরণ্যদেবের খুলিগুহার উপাখ্যান। এরপর ক্রমশ স্বদেশী ভাষাতেও কার্টুন অথবা কমিকসের প্রভাব শুরু হয়েছিল। আমরা পেয়েছিলাম নারায়ণ দেবনাথ অথবা আর কে লক্ষণের মতো দিকপাল একেকজন শিল্পীকে। কিন্তু, শুরুতেই যে কথা বলে এলাম, ছবি ও তারই মধ্যে সংলাপ, অডিও-ভিজুয়ালের এমন চমৎকার পাশাপাশি প্রয়োগ, এই বিষয়টিই কিন্তু মাধ্যম হিসেবে কমিকসকে এতখানি শক্তিশালী করে তুলেছে। চটজলদি কোনও একটি বিষয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য, ছোট্ট একটি ছবি, তারই মধ্যে একখানি সংলাপ কেবল, ব্যস তার থেকেই কেমন করে জানি একখানি গল্প তৈরি হয়ে গেল– কমিকসের জোর এটাই। সেই কারণে কমিকস যে কেবল শিল্প বা সাহিত্য-মাধ্যমেরই ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে, তাই নয়–তাকে ব্যবহৃত হতে হয়েছে জনমত তৈরি উপকরণ হিসেবেও। যদিও, সব শিল্পেরই মতো, প্রথমদিকে রাষ্ট্রযন্ত্র বা রাষ্ট্রনায়কদের কাছেই একমাত্র, প্রচার-মাধ্যম হিসেবে তা ব্যবহৃত হলেও, দীর্ঘমেয়াদে ক্রমশ কমিকসের প্রধান মালিক হয়ে উঠেছেন কমিকস-শিল্পী বা গল্প-রচয়িতারাই। কাজেই রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে, শেষ অবধি জনগণের মতামতই হয়তো বা সেই মাধ্যমে প্রধান হয়ে উঠেছে, অথবা উঠতে চেষ্টা করেছে। শিল্পের অস্তিত্ব যে কেবলই মানবতায়, তাও প্রমাণিত হতে পেরেছে। এরই মধ্যে আমাদের আলোচনায় মুখ্য হয়ে উঠেছে ভিয়েতনাম!



শোনা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কুখ্যাত যে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়, বা তারও আগে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সূত্রপাত ও কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, সেই একই সময়ে আমেরিকায়, তদুপরি সারা পৃথিবীতেই, মার্কিনি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত সস্তা যৌন-আবেদনপূর্ণ বিভিন্ন পত্রপত্রিকার এক রমরমা ব্যবসার প্রভাব দেখা গিয়েছিল। নিন্দুকেরা বলে থাকে ঠাণ্ডা যুদ্ধ, ও ভিয়েতনাম লড়াইয়ের বিবরণ যাতে বিশ্ব-জনমতকে কোনওভাবে প্রভাবিত করতে না পারে, সেই কারণেই বিশেষত তরুণ ও উজ্জীবিত সম্প্রদায়কে কোনও এক নেশার মাধ্যমে অন্যদিকে ব্যস্ত করে রাখতে এমন সমস্ত পত্রপত্রিকার প্রচারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। একই সময়ে নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছিল কমিকস সুপারহিরোদের পুনরাগমন। মার্কিনি অর্থ, ঝকঝকে ছাপাইয়ের ব্যবস্থা, চকচকে কাগজে তেমনই সমস্ত চটকদার অতিমানবীয় কীর্তিকলাপ, একপ্রকারে নেশার বস্তুর মতোই পৃথিবীর বাজার ছেয়ে ফেলেছিল। ডিসি, মার্ভেল ও অন্যান্য কমিকস-গোষ্ঠী ও প্রকাশকদের কার্যত সেই সময়ে নবজন্ম ঘটেছিল; আর তারও মধ্যে বারংবার ফিরে এসেছিল ভিয়েতনাম!

সামগ্রিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি কিন্তু বারেবারেই অন্যান্য সাহিত্য বা সংস্কৃতির মতো কমিকসকেও প্রভাবিত করেছে। ১৯৩০এর গ্রেট ডিপ্রেশন বা ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে বিরাট, বিপুল সমস্ত ভূসম্পত্তির মালিক মার্কিনি জমিদারশ্রেণীরই একেকজনকে কিন্তু আমরা সুপারম্যানের প্রধান শত্রু হিসেবে উঠে আসতে দেখেছি। আরও একটু এগিয়ে এলে পরে আমরা দেখব, মার্ভেল কমিকসের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ক্যাপ্টেন আমেরিকার প্রধান শত্রু হিসেবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেড স্কাল ওরফে জর্জ ম্যাক্সনকে উপস্থাপিত করা হয়েছে, যে কিনা নাৎসি বাহিনীর জন্য বিপুল সমস্ত মারণাস্ত্র সংগ্রহ করতে চায়। ডিসির দুনিয়াতেও আমরা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখেছি। কিছু বছর আগে মুক্তি পাওয়া ওয়াণ্ডার উওম্যানের প্রধান শত্রু হিসেবে আমরা উঠে আসতে দেখেছি নাৎসি জার্মানিরই প্রতি সহানুভূতিশীল এক অতিমানবিক জেনারেলকে। ঠাণ্ডা লড়াইয়ের পরবর্তীতে ক্রমশ নাৎসি ভাবাদর্শের জায়গা নিয়েছে সোভিয়েত রাশিয়া ও কম্যুনিজমের মতবাদ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ভাবেই, মার্কিনি কমিকস কিন্তু চেষ্টা করে গিয়েছে নিজেদের, বা বলা ভালো পুঁজিবাদের, ভাবাদর্শগত আধিপত্য স্থাপন করতে। যে কারণে সমস্ত কমিকস-এ্যাডভেঞ্চারগুলিতেই অতিমানবীয় সমস্ত সুপারভিলেনেরা এসে হানা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা বড়জোর ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জেরই কাছাকাছি কোথাও। এছাড়াও তাঁদের সহচর হিসেবে উঠে আসে মূলত রুশ অথবা জার্মান সমরনায়ক অথবা বড়লোক সামন্তপ্রভু-মার্কা চরিত্রেরা একেকজন। মার্কিনি সুপারহিরোদের হাতেই তখন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন ঘটে। ইদানীং অবশ্য দেখা যাচ্ছে সুপারহিরোদের ভালোবাসা ও মানবতার কিছু কিছু দৃষ্টান্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির উপরেও পড়তে শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সুপারহিরোদের আশীর্বাদের পাল্লা ভারী হচ্ছে খনিজতেল-সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের মরুদেশগুলিরই উপর। আয়রনম্যানকে আফগানিস্তান ও ইরাকের আকাশের বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে, কারণ কিনা বিগত দুই-তিন দশকে এই সমস্ত অঞ্চলগুলিই মার্কিনি পুঁজির নতুনতর হান্টিং-গ্রাউণ্ড হয়ে উঠতে পেরেছে। কাজেই ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়েও যে, সেই ভিয়েতনামেরই বিবরণ ডিসি-মার্ভেলের কমিকস-প্রকাশনাগুলিতে উঠে আসতে পারবে এতে আর আশ্চর্যের কি আছে...

১৯৬২ সালে ডেল প্রকাশনের হাত ধরে প্রকাশিত হয় ‘জাঙ্গল ওয়ার স্টোরিজ’। প্রথম কিস্তির প্রচ্ছদে ঘন জঙ্গলের গা ছমছমে ছবির উপর গোটা গোটা সাদা অক্ষরে লেখা হয়েছিল, “দ্য জাঙ্গলস অব আফ্রিকা এ্যাণ্ড এশিয়া হ্যাভ বিকাম ফ্লেমিং ব্যাটলগ্রাউণ্ডস!” যদিও গোটা সিরিজে কেবল ভিয়েতনাম যুদ্ধেরই বিবরণকে প্রেক্ষাপট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৬৫তে এই সিরিজের পরবর্তী অংশ হিসেবে শুরু হয়, ‘গেরিলা ওয়ার’এর উপাখ্যান। ১৯৬৭ থেকে তারও ধারাবাহিক পরবর্তী অংশ হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে ‘টেলস অব দ্য গ্রিন বেরেট’। ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও সেই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবল অসুবিধা সত্ত্বেও জোয়ান মার্কিন যুবকদের আত্মত্যাগের বিবরণ ফলাও করে প্রকাশিত হতে থাকে। সেপ্টেম্বর ১৯৮৬ থেকে, ডিসেম্বর ১৯৯৩ অবধি মার্ভেলের প্রকাশনায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধ-সংক্রান্ত সবচেয়ে বিখ্যাত কমিকসের কাজ ‘দ্য নাম’। সাধারণ এক মার্কিনি যোদ্ধার চোখে যুদ্ধের ভয়াবহতা সেই কমিকসের মাধ্যমে তুলে ধরা হতে থাকে। গোড়ার দিকে সরাসরি আগ্রাসক মার্কিনি সাম্রাজ্যবাদের গৌরব, ও ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধের কারণে মার্কিনি যোদ্ধাদের ত্যাগস্বীকারের বিবরণই এই সিরিজে ফলাও করে উঠে এলেও, ক্রমশ শেষের দিকে সেই একপেশে বিবরণে খানিক পরিবর্তন দেখা যায়। যুদ্ধবিরোধী মনোভাব সরাসরি উঠে না এলেও, ভিয়েতকং যোদ্ধাদের কথা, তাদেরও যুদ্ধের কারণে দুরবস্থা, ইত্যাদি বিষয় অল্প অল্প করে সেই সিরিজে উঠে আসতে থাকে। যদিও বৃহৎ কমিকস-প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে সরাসরি দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বড় করে কোনও যুদ্ধবিরোধী বার্তা সাজানো, বা তেমন কোনও চেষ্টা করা - কার্যক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে সেই সময়ে অসম্ভব ছিল। সকলেই যে মহম্মদ আলির মতো কারোর তোয়াক্কা না করেই যুদ্ধের বিরোধিতায় সরকারের চক্ষুশূল হয়ে উঠতে সাহস দেখিয়ে ফেলে না, বাস্তব এটাই। তবুও প্রত্যেক মানুষ ও প্রত্যেক সাংস্কৃতিক মাধ্যম, ক্রমশ নিজেদেরই মতো করে অগ্রসর হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পরবর্তীতে আবারও এমন সমস্ত কমিকস শিল্পীদেরই হাত ধরে ক্রমশ নতুন একেকটি সিরিজে নতুনতর রূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, আয়রনম্যান অথবা এক্সমেনেদের মতো সুপারহিরোরা সবাই। ক্রমশ কমিকস ও অন্যান্য দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমেও জোরালো হতে থাকে ভিয়েতনামের যুদ্ধবিরোধী আওয়াজ।


(সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঠিক প্রথাগত অর্থে কমিকস চরিত্র না হলেও, ইণ্ডিয়ানা জোনস সিরিজের শেষতম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে বর্ষীয়ান অধ্যাপক ইণ্ডিয়ানার একমাত্র পুত্র ভিয়েতনাম যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে, শোক-ভারাক্রান্ত অধ্যাপক জোনস বলছেন, যদি কখনও সত্যিই অতীত সময়ে ফিরে যেতে পারি, তাহলে আমার পুত্রকে আমি যুদ্ধে যেতে বারণ করতাম। তাকে বোঝাতাম যুদ্ধের অসারতা সম্পর্কে)

মার্ভেলের নতুন সিরিজেও নিক ফিউরির চরিত্রকে নাকি দেখা গিয়েছে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে। সবমিলিয়ে, পুঁজি, যুদ্ধ, প্রোপাগান্ডা ও সাম্রাজ্যবাদ, কমিকসের রঙচঙে মোড়কের আড়ালে কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে এতকিছুই! উজ্জ্বলরঙের দুর্দান্ত সমস্ত বিবরণ, চোখা চোখা সংলাপে মুহূর্তে মনকে উজ্জীবিত করে তোলা সমস্ত চরিত্রেরা, মানবতা (পড়ুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)কে বাঁচানোর প্রয়োজনে সে সমস্ত চরিত্রদের প্রাণপাত করতেও পিছপা না হওয়া–একদিকে যুগিয়ে এসেছে শরীরের এ্যাড্রিনালিন, অন্যদিকে মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করেছে-পুঁজি ও লার্জার দ্যান লাইফ আরও সমস্ত সমভাবাপন্ন প্রোপাগাণ্ডার অভিমুখেই। পালটা লড়াই শুরু হলেও, শেষ অবধি কতদিনে এই শিল্প মাধ্যম পুরোপুরি পুঁজির হাত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবুও, শিল্প-মাধ্যম কখনই যে শেষ অবধি পুরোপুরি পুঁজির দাস হয়ে পড়তে পারবে না, সেই বিশ্বাস অটুট।

 তাই তো আর্ট স্পিগেলমানের কলমে রচিত হয় কালজয়ী মাউসের উপাখ্যান, অথবা আমাদেরই নারায়ণ দেবনাথ ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের নিয়ে গিয়ে হাজির করেন প্রিয় চরিত্র বাঁটুলকে, যে বাঁটুলেরই অতিমানবীয় কীর্তিতে শেষ অবধি মুক্তিসেনার জয় নিশ্চিত হয়। প্রাণ নিয়ে পালাতে বাধ্য হয় আগ্রাসকেরা। শেষ অবধি এই কল্পনাতেই ভরসা থাকুক। মাধ্যম হিসেবে কমিকস জুড়ে থাকুক আমাদের শৈশব, কৈশোর, যৌবনের প্রতিটি মুহূর্তকে–আমরা সেই উজ্জ্বলরঙের, চটকদার কার্যকলাপে নিজেদের হাত সেঁকে নিতে থাকি। মনের মধ্যেটায় সেই বিশ্বাসটুকুকে কেবল জারিয়ে নিই তখন, “অতিমানব হয়ে উঠতে চাওয়াটা, কোনও একটি দেশের একমাত্র বৈশিষ্ট্য নয়! ভিয়েতনামও পারে গোলিয়াথের বিরুদ্ধে ডেভিডের উপাখ্যান রচনা করতে। কমিকসের পাতায় শেষ অবধি যেন উঠে আসে, সেই সারসত্যটাই...”


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন