দোঁহা

বর্ণময় বাড়ৈ-এর কবিতা

 



প্রমক্তা

ব্যক্তিগত খাদের পা‌শে কিছুটা আয়ু জমা থাকবেই
যাকে একাকীত্ব বলা যায়।
অনেক গভীরে মৃত্যু
পর্যাপ্ত আহ্লাদ নিয়ে অপেক্ষমান
তাকে সাবালক হতে শেখাও জীবন!

শূন্য দিয়ে শূন্যকে গুণ করলে
শূন্য‌ই মেলে
এমন সহজ গণিতে আয়ু পূর্ণতা পায় শেষমেশ
তবু নিরীক্ষার অন্তিম দেখতে চাইছে সময়
সেই ভুল সময়ের নিরিখে
এখন আমরা সবাই সফল পুতুল
ঝুলে আছি সুতোর মহিমায়

তুমি বরঞ্চ পালাতে শেখো
দূরে নৈশব্দের ভীতর
যথাযথ একলা না হলে জানবে কীভাবে
ভীড় কেবল‌ই মায়া



পুরনো লেখাগুলো

রাত গভীর হলে পুরনো লেখাগুলোর পাশে এসে বসি ,
একে অপরকে প্রশ্ন করি, কেমন আছো?
কেউই ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারি না এই প্রশ্নের
তবু কথা হয় বহুক্ষণ...

তারপর অন্তিম অন্ধকারের জাদুবলে
পুরনো লেখাগুলো নতুন হয়ে যায়

আর আমি সেই পুরনো একজন
আর‌ও পুরনো হতে থাকি...



একটা পুরনো তারিখ

নিকটতম অন্ধকার থেকে
পছন্দস‌ই একটা পুরনো তারিখ তুলে আনো
দেখবে রক্তের দাগ এখন‌ও স্পষ্ট,
দেহ নিয়ে গেছে চিল শকুনের দল
একটা চপ্পল পড়ে আছে লক্ষ্যভ্রষ্ট

সে ঠিকানা ভুলে গেছে
আত্মীয় পরিজন রুমনম্বর সব ভুলে গেছে
অতীত স্মৃতির গভীরে এখন মলিন মান্দাস
ঢেউ গুনে গুনে ভেঙেছে সন্ত্রাসের ডুব
তবু ভেসে আছে কোনোক্রমে

বর্তমানকে উপেক্ষা করে
ওই চপ্পলটি তুমি পরে নিতে পারো
ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে বলে...

একটা পুরনো তারিখ
সুযোগ পেলেই বদলে ফেলতে চায় পৃষ্ঠা
তুমি তার অন্তিম সংখ্যা হয়ে লাল কালিতে লিখে নাও নিজেকে...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন