দোঁহা

শিবালোক দাসের কবিতা

 



মধ্যযামিনী

মায়ের নগ্ন বুকের ঋণে গড়িয়ে এল
একটি টাটকা লাশ,
ছড়ানো জলপ্রপাতের মতো পাথরে
ছন্দ, শব্দ, গড়িয়ে আসে, তবুও...
আমি তোমায় ভয় পাই না মধ্যযামিনী।

আমি নির্বাসন চাইনি,
আমার মাটিকে চুম্বন করতে গিয়ে
ছোট হয়ে আসা দিনের মধ্যে চিৎকার
করে মানুষ, তাদের পায়ের জমি আলাদা
হয়ে মাঝে বয়ে গেছে স্রোত।

তাদের ঘর কেউ বেঁধে রাখতে পারেনি।

আমি তোমায় ভয় পাই না মধ্যযামিনী,
হাত দিয়ে চেপে ধরি দেওয়াল, মা আমার
চলে যাচ্ছে দূরে, সবুজ ফিকে হচ্ছে কাঁটাতারে...

রাইফেল, তুমি কি বোঝো না মাটির ভাষা?
যার উপর আমাদের বুকের কম্পন ছড়িয়ে যায়?


ঘর

ঘর আলাদা রেখে কে চায়
একটি ক্ষীণ সুতোয় পা রাখতে ?

নদী বয়ে গেছে। ভেসে যায়নি।

এক্কা দোক্কায় সূর্য তখন যাওয়ার মুখে,
তখনই চলল গুলি, চলল অগ্নিপরীক্ষা।

ঘর আলাদা রেখে কে স্বর চেপে রাখে
ফেটে যাওয়া মাটির তলে হাহাকারের মতো ?

নামতা পড়া হত বারোমাস, চালের কণার
বদলে সুখ বাড়া হত থালায়,
এতটা রক্তিম। সব রঙ মিলে মিশে একাকার।

একটু পিছন ফিরে তাকাও।
কতটা সোনালী চোখের জল।

ঘরের উঠোনে একা এখন তুলসীমঞ্চ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন