দোঁহা

পৌলমী ভট্টাচার্যের কবিতা

 


দেশ উচ্ছেদের উপন্যাস 

দুই মাটিতে শাসনকর্তার কার্ফিউ জারি আর মৃত্যুর উৎসব দেখছে বোবা ডাস্টবিন। তুমি কেঁদে উঠলে বুকে কবর দেবে সন্দিহান রুক্ষ বুট; মোলাকাত হবে না কখনও কলাইয়ের থালায় ভোগ্য গ্রাসের সঙ্গে। 

অদূরে রক্তাক্ত দেশ উচ্ছেদের উপন্যাস তৈরি করছে নিদারুণ অপরাহ্ন; সূর্য গলে পড়ছে ট্র্যাকিয়ার মধ্যবর্তী পথ ধরে যেখানে বিদায়জ্ঞাপক আবেদন পরম্পরার হাত ধরতে অক্ষম। ক্ষুধিত ভূমি হাতছাড়া হচ্ছে দেখে আবাদী সম্পর্কে পোশাক পরাবে না দুস্থ সম্প্রীতি। 
 
 
আর্তনাদ গণস্বার্থে প্রচারিত 

মাত্র দু'গজ পেরোনো বাকি অথচ দেশবিভাজনের জবানবন্দি কালো মেয়েটার ঠোঁটে বারো হাত শাড়ি আগুনে স্থান নেওয়ার মতো। অযুত চিহ্ন থেকে যাবে আলোচনাচক্রে তবু বোরখা কখনও আঁচল জড়াবে না। পৃথিবীর মানচিত্র পরিষ্কার হোল লুকোনো জল্লাদের হাসিতে: নিষ্প্রাণ। বিরোধীজাত জলবায়ুতে শিকড়ের অন্ত্যেষ্টি হোলে উচ্চারিত হয় দলাদলির আন্তরিক উল্লাস...

'সাড়ে তিন হাত' জমিতে কাশীদাসি মহাভারত পাঠ করবে না একান্নবর্তীতে বড় হওয়া গুরুমারা বিদ্যে। হবে না অবিভক্ত ইতিহাসে নামাজ পাঠ। ছেদ হয়েছে দ্যাখো...সভা ডাকো যেখানে দুর্ভোগ সহ আর্তনাদ গণস্বার্থে প্রচারিত। 


বারবিকিউ ঔদ্ধত্য 

এখন ছন্দে জাবর কাটছে অযৌক্তিক হানাহানি। সরলরেখাটি নিজেই মৃত সহকর্মী। সন্ত্রাসের খামারে মাতৃস্নেহের শ্লোক আগেভাগেই উহ্য হয়...  
বেয়োনেটের মুখ থেকে অধর্ম ছিটকে বেরোলে উদ্বাস্তু ঈশ্বরের পোশাকে পিতৃত্বের চামড়া মলিন লাগে। 

দেশের পতাকা বুঝে নেয় রকমারি ঐতিহ্য কিন্তু বিলাসহীন মাটিতে বারুদের স্বাদ নিতে দেখি পিতামহের পরের প্রজন্মকে আর বুকে বাঁচানো কাঁটাতারের খোঁচায় দেওয়ালের ইঁটেদের প্রাণধারণের শক্তি ফকির হয়। 
ভুলে যাই খিদে আর মৃত্যুর ছদ্মনাম। মহামান্য আদালতের চেয়ারে তখন ভাগাভাগির বিচার চালায় বারবিকিউ ঔদ্ধত্য।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন