রডোডেনড্রন
মেঘলা বাতাস, অল্প রোদের মায়ায়
ভরিয়েছি ঘর নিপুন আলোছায়ায়।
চলার পথে থমকে দেখি চেয়ে
পাহাড় বাঁকে একলাটি ওই মেয়ে
হাতভরা তার রডোডেনড্রন গুচ্ছ
অমল আলোয় মাতাল ঝাউবন
দাঁড়িয়ে দুরে কিরীট পরে উচ্চ
মেঘবরফে উদাস করা মন।
আগুন আগুন ফুলগুলো তার
হাতের ফাঁকে পাতার বাহার
রঙিন করে হৃদয় আমার
হেলায় চলে যায়।
পথের ধারের হলুদ ফুলে
রুপোর নুপুর উঠলো দুলে
দাঁড়িয়ে থাকে সব ভুলে
সে কিসের অপেক্ষায়।
শোনো, ওগো পাহাড়বালা
গলায় তোমার কিসের মালা
অরুনবরণ আগুন ঢালা
অনামী ওই ফুল।
একটি আমায় দাও গো মেয়ে,
বনপাহাড়ী উজান বেয়ে
একলা যাবে কোথায়?
কানে ঝুমকোলতার দুল।
বরং চলো নিঝুম পথে
হাঁটতে থাকি দুইজনাতে
বেলাশেষে পৌঁছে যাবো
মেঘের দেশের বাসায়...
বরফঢাকা গাছের ধারে
রডোডেনড্রন থাকুক পড়ে
কাল সকালে কুড়িয়ে নেবো
নতুন শুরুর আশায়।
সুখ
বেখেয়ালে অসময়ে যদি
ছুঁয়ে ফেলো ঝরে পড়া পাতা
বুক জুড়ে বয়ে চলা নদী
হারিয়েছো হিসাবের খাতা
বেঁচে থাকা মরুভূমি যতো
লুকিয়েছে বালিঢাকা জল
খসে পড়া তারাদের মতো
রাত জেগে থাকে অবিকল
ঘিরে ধরা কুয়াশার মাঝে
চেনা পথ লাগে অচেনা যে
মুঠো ভরে আলোঝরা তারা
গান হয়ে চরাচরে বাজে
যে বিকালে প্রেমে পড়া যায়
জড়িয়েছি যতো ব্যাকুলতা
বলে গেছি শুধু কানে কানে
ঝরে যাওয়া পাতাদের কথা
নিভে গেছে রাতজাগা আলো
কোটি কোটি জোনাকির ভীড়ে
তবু তাকে লাগে বড় ভালো
বেঁচে থাকে সুখী আঁখিনীরে।
ছুঁয়ে থাকো তুমি ভালোবাসা
চোখ ভরে জাগে চেনামুখ
ঝরে যাওয়া পাতাদের হাতে
ধরা থাক তারাদের সুখ।