মায়াবী ক্যাটেলিয়ার বনে
তোমাকে কি বাসিনি সম্পূর্ণ ভালো! সংশয়ের বাগানে ফোটে মায়াবী ক্যাটেলিয়া। চাঁদের আলো, তুমি ছড়াচ্ছো হাসির মূর্ছনা। তুমি কি মানুষ নাকি স্বর্গের অপ্সরা! আমি যাচ্ছি ভুলে পথের নিশানা। ঢুকে পড়ছি খানা-খন্দকে। যেন নেশায় চূর হয়ে আছি। পান করেছি জুম্মোদের ঘরে মূলি দারু ফুলের তিয়াস। তারপর এমন উন্মাদনা। মরুভূমি ভেবে হাঁটছি মঙ্গলের মাটিতে।
অবসন্ন শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি, বাওবাব বৃক্ষের ছায়ায়। নিরক্ষর আমাকে চিনিয়ে যাচ্ছো পাঠক্রম। জলজ উদ্ভিদের জঙ্গলে ঢুকে পড়লো শিকারী টিউনিকেট। আমাকে প্ল্যাঙ্কটন ভেবে গিলে নিয়েছে সে। বিশ্রাম করছে সমুদ্র গিরিখাতে। এখন তার পাকস্থলীতে হজমের জন্য অপেক্ষা করছি। মাটির আগুনে পুড়ছে শস্যপ্রাণ। বধুঁয়া, তোমার হাত থেকে ঝরছে মশলার বাষ্প।
বুঝি এভাবেই মৃত্যুর জন্যে তৈরী হচ্ছি। হাতছানি দিচ্ছে, নোনা জলের বনভূমি। দিচ্ছে জানান, অপরূপ শূণ্যতা। বৃক্ষেরা দাঁড়িয়ে আছে স্পর্শহীন। সূর্যলোক জানে, সালোকসংশ্লেষণের ভাষা। না জেনে তোমাকে, পড়েছি গভীর প্রেমে। যেন স্ত্রী কুমিরের প্রেমে পড়েছে আমার মনুষ্যপ্রাণ। এখন তার চোয়ালের নিচে, আমার বেঁচে থাকা।