অকাষ্ঠল
ছুতোরের দেশ থেকে চিপে আনি গাঁদালের রস
মোহিত সারস ডানা, কাঠে কাঠে চন্দন বাটা
রুপোর তবক লাগা সামরিক গুলকন্দ বন
তাপিত শ্রাবণ হোক, শোক যদি রোদের শলাকা
ঘুঘুর শরীর ভাসে জলে, নতমুখ নাকি সে সজীব
ঘাসের দ্যুলোকে নাচে শ্যামা। আলজিভে সাগরের নুন
চিকচিকে বালি আর ছুতোরের গলিত আকাশ
হাতুড়ি পেরেকে লাগে জং, অরণ্যে লেগেছে আগুন
এতো তবু রুপশালি ধান, প্রসাধনে বেড়ে যাবে রূপ
কথার সাধনে নাচে কালী। খ্যামটা মুদ্রা বরাভয়
চেরা জিভ, জীবের আধানে খোরা যত নলকূপ
ছুতোরের বেদবতী ঘট, সিন্দুর হউক অক্ষয়!
তাপের প্রভাবে ক্ষেপি শ্যামা, হোমানলে ঝাঁপ দেয় পোকা।
ছুতোরের ঠুকঠাক স্বর, ভেঙে পড়ে আদিম ঝরোখা।
পিতৃপুরুষ
থাক ছুঁড়ি তুই হোস না দেবী আর
খড়্গ রেখে আমার কোলে বোস
থাকনা মারে নদীর পারাপার
রাত বয়ে যাক ভাদর থেকে পোষ
ওসব নাচন, থাকনা বহুদূরে
জিভ দেখানো রক্ষেকালীর ছলে
দেখনা বাবার দাপনা গেল পুড়ে
বিশ্ব যদি রাখিস পদতলে
থাক ছুঁড়ি তুই, কোসনে কথা মোটে
শৃগাল ডাকে ভরছে যদি দেশ
মেঘ নুয়েছে মাতঙ্গিনি ঠোঁটে
আয় বেঁধে দিই পাগলী এলোকেশ।
আয় কাছে মা, মুণ্ডমালা রাখ
রক্ত মাতন পূর্ণ মনোষ্কামে
নীল শ্যামা মেঘ পুনর্বসু পাক
নাম লিখে যাই বীর্যে এবং ঘামে!