দোঁহা

কৌশিক সেনের কবিতা

 


 অকাষ্ঠল

 

ছুতোরের দেশ থেকে চিপে আনি গাঁদালের রস

মোহিত সারস ডানাকাঠে কাঠে চন্দন বাটা

রুপোর তবক লাগা সামরিক গুলকন্দ বন

তাপিত শ্রাবণ হোকশোক যদি রোদের শলাকা

 

ঘুঘুর শরীর ভাসে জলেনতমুখ নাকি সে সজীব

ঘাসের দ্যুলোকে নাচে শ্যামা। আলজিভে সাগরের নুন

চিকচিকে বালি আর ছুতোরের গলিত আকাশ

হাতুড়ি পেরেকে লাগে জংঅরণ্যে লেগেছে আগুন

 

এতো তবু রুপশালি ধানপ্রসাধনে বেড়ে যাবে রূপ

কথার সাধনে নাচে কালী। খ্যামটা মুদ্রা বরাভয়

চেরা জিভজীবের আধানে খোরা যত নলকূপ

ছুতোরের বেদবতী ঘটসিন্দুর হউক অক্ষয়!

 

তাপের প্রভাবে ক্ষেপি শ্যামাহোমানলে ঝাঁপ দেয়   পোকা।

ছুতোরের ঠুকঠাক স্বরভেঙে পড়ে আদিম ঝরোখা।

 

 


পিতৃপুরুষ

 

থাক ছুঁড়ি তুই হোস না দেবী আর

খড়্গ রেখে আমার কোলে বোস

থাকনা মারে নদীর পারাপার

রাত বয়ে যাক ভাদর থেকে পোষ

 

ওসব নাচনথাকনা বহুদূরে

জিভ দেখানো রক্ষেকালীর ছলে

দেখনা বাবার দাপনা গেল পুড়ে

বিশ্ব যদি রাখিস পদতলে

 

থাক ছুঁড়ি তুইকোসনে কথা মোটে

শৃগাল ডাকে ভরছে যদি দেশ

মেঘ নুয়েছে মাতঙ্গিনি ঠোঁটে

আয় বেঁধে দিই পাগলী এলোকেশ।

 

আয় কাছে মামুণ্ডমালা রাখ

রক্ত মাতন পূর্ণ মনোষ্কামে

নীল শ্যামা মেঘ পুনর্বসু পাক

নাম লিখে যাই বীর্যে এবং ঘামে!




 

 

 

 

 

 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন