দোঁহা

শতাব্দী চক্রবর্তীর কবিতা

 


বাতাস বাড়ি

‘আঁকো বর্গক্ষেত্র, আঁকো জ্যা, শুষে নাও বৃত্তের পরিধি’
এসব মতামত নির্মাণ করে,
চৈতন্য জাগ্রত জনগণ লীলাক্ষেত্রে ধূপ জ্বালায়
শুধু একটি কাব্য লিখবে বলে
বসে থাকে অনন্তকাল

অথচ সে আপনা হতেই রোজ লিখে চলে
শীতকালের ছেঁড়া কম্বলের সম্বলে
কোন রূপজীবা বা আটপৌরে বধূ
বাসনঅলা কিংবা কৃষকের শরীর।
শহুরে আহ্লাদিত পংক্তি নয়,
যাদের মাথায় উশখুশ করে ভাত-গন্ধের স্বাদ
তাদের কাব্য মঙ্গলময় হয়ে ওঠে
ক্ষেতে, মাঠে, বিছানায় আর রাজপথে আলোক গুহায়

আমাদের গদগদ, আমাদের আহামরি ভাব যত
সবটাই তখন শূন্য শূন্য শূন্য
বাতাস ভরা বেলুনের মতো
মুঠো ভরা ছাই এর মতো
কেবলই উড়ে চলে বাতাসে বাতাসে
কিছু পদ সাজিয়ে শীতকালীন সংসার গড়বে বলে



সুখ পাখি

বুক ভাগ করে রেখে দিয়েছি বিছানার পাশে
তুমি খেতে এসো, মোহন জলে ধুয়ে দিয়েছি পথ ঘাট
বেড়ার জন্য বরাদ্দ কাঁটা বাঁশে
বিষাক্ত চোখগুলো বিঁধে যাবে নিশ্চিত
চিন্তা কোরো না, ঝড় উঠলে, থামতেও জানে সে
মন মরমিয়া পীড়া দেয় বিস্তর

তুমি কি সিগারেট ফেলে অমৃত খুঁজে পেয়েছো?
খুলে ফেলো তবে অন্তরাল
আমি খিদে জমিয়ে রেখেছি
নিরন্তর বোঝাপড়ায় ঠেলাঠেলি করা মন দূরে রেখে
এসো বুক ভাগ করে সাজিয়ে রেখেছি বিছানায়
হৃদি মোর! এসো সুখ পাখি হও

1 মন্তব্যসমূহ

  1. "হৃদি মোর! এসো সুখ পাখি হও"...এই পংক্তি মগজের কোশে চিরস্থায়ী বাসা খুঁজে পেল জানিয়েছে। যে পথ দিয়ে হেঁটে এলাম, তাকে অলৌকিক মনে হচ্ছে, আশ্চর্য প্রণিপাতে আনকোরা আলোর প্রতিফলনে এ এক অবিশ্বাস্য সফর...

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন