এখন আর কোনো রাস্তা নেই
দাঁড়াবো না, দাঁড়াবো না মনে করেও দাঁড়াচ্ছি
এখন আর কোনো রাস্তা নেই
বিকেল নামতে শুরু করেছে
অন্ধকার এসে কিনে নেবে আমাদের
কত ইচ্ছে লুকানো বাঁশির মতো ছিল
কত ইচ্ছে মৌচাকের দিকে যেতে চেয়েছিল
কত ইচ্ছে কেঁদেছিল শুধু নিঃশব্দ কান্নায়
আমি কি ইচ্ছেদের দাস নাকি তবে?
মুখ ফুটে কিছুই বলিনি ওদের
দিনান্তের মুখ চেয়ে বসিয়েছি কল্পনার ঘরে
কল্পনাও বলেনি কিছু; শুধু ওদের সম্মুখে
কাপড় খুলেছে আর কাপড় পরেছে...
রাঙা পা, ততোধিক ঐশ্বর্যে রাঙা দেহ
ছুঁতে গিয়েও হয়নি ছোঁয়া আর
অনুভবের বিজ্ঞাপনে লেপ্টে গেছে মোহ
কার্যত শূন্যের পরিধি জুড়ে হেঁটে গেছে কেহ!
মধ্যবিত্ত
নিজেকে বর্ণনা করার কোনো কৌশল জানা নেই আমার
তবু রোজ ভাষা খুঁজি, ভাষার প্রতীক খুঁজি
অদ্ভুত একাকী হয়ে দেখি আয়নায়:
শুধু এক মেধাহীন মধ্যবিত্ত
সংসারের আলো-আঁধারে সরীসৃপের মতো চলাফেরা করে
আর ক্রমশ শিকার করার সামর্থ্য হারায়
এই অবেলার ছায়ায় যদি দেখা হয়
আমার ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়
তবে কোন্ মোক্ষ চাইব আমি?
সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে
সম্মুখে দৈত্যের দেশ নরকের দরজা খুলে ডাকে: আয় আয়...
আমরা কি সবাই তবে নরকগামী হতে চাই?