দোঁহা

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের কবিতা


তেষ্টা মানেই আগ্রহ

ফুলের পাপড়িতে আঙুল ছোঁয়াচ্ছে মানিক। আমি তার সকালের নীল কুয়াশার সাথে পরিচিত হই, আলপথ ভেঙে খুঁজি নিটোল পাতা। দানাদানা জলের সাথে ভিজে যায় দুই হাত—কত বাৎসরিক মেঘ উড়ে বিকেলের মাঠ থেকে —থামেনি তেষ্টা–আর তেষ্টা মানেই আগ্রহ। প্রকট গোড়ালি ফাটায় বাড়ে  হনন শরীর—জ্বর বাড়ে কোমলতায়

ধরা যাক বছর শেষ। তার মানে আকাশের পরিধি বেড়ে যায়—কালী মণ্ডপ খালের সিক্ত বাসভূমি থেকে পলি চলে যায় ছায়াহীন স্থির দৃশ্যে—গামছা কাঁধে কালো শরীরে নিঝুম নয়ানজুলি  ভাবতে গিয়ে শালুকপানায় জড়িয়ে গেছে সাপ-জড়িয়ে থাকতে চায় অপ্রকাশিত স্যাঁতস্যাঁতে খাদ, এই উষ্ণতাটুকু  ছড়িয়ে দেয় দিগন্ত



গোবিন্দ দাদু হাঁটছেন  

গোবিন্দ দাদু হাঁটছেন। তার নিশ্বাসের সাথে লাঠি ঠুকবার শব্দ মিশে যাচ্ছে  বাতাসে–সাদা সাদা ফতুয়ার সাথে ময়লা  ধুতির খুঁট গায়ে আঁকাবাঁকা ছায়ার নিচে এগিয়ে যাচ্ছেন  আরও দীর্ঘদিন–এই বাকল পথে আমার পায়ে উঠতে থাকে কালো পিঁপড়ের সারি–অনন্ত আর বিধুকাকার ভিটেগড়ার উৎসব দেখছে আকাশ–কোনো বিপরীত কাজ নেই; কাশগুচ্ছের থেকে দূরত্ব  বাড়ছে ক্রমশ   

যত দিন যাচ্ছে ধস নামছে রাস্তায়। আস্ত পুটলির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে শাড়ির লাল পাড়। দুখুর রেড়িও থেকে ছুটে আসে সুর—আর একলা বাতাসের  তীব্রতাগুলি খুবই শীতার্ত–কাঁটা বাঁশঝাড়ে  জড়িয়ে থাকা চিতিসাপের গায়ে মরা পাখির পালক, গমনকাল   ছাড়িয়েও কিভাবে  টিকে আছে সেই ঘর–এই মেঘের বাষ্পায়নে আমি কেবল অশোকের  নিচে দাঁড়াই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন