দোঁহা

অভিজিৎ দাস কর্মকারের কবিতা



দরিয়া

১.

যা পরমপ্রেমভক্তি, নিরোধরূপ, কামনাহীন...

আমি তোমার নাভির উপর ধ্যানস্থ বোধি…

চারিদিক ধেয়ে চলেছে করালী সময়। ধুতুরা সৌরভে মুখরিত হয়ে মনসার কৌটা খুলে বেরিয়ে এল এক অনম্ত প্রেমের উপাখ্যান। যেখানে আপনার সাথে ব্যক্তিগত আলাপ করার পূর্বে স্নান সারতে গেছেন ঐন্দ্রী। যুগ যুগ ধরে সাংসারিক ঝঞ্ঝাট। মাসের পর মাস দুধ,কলা, আকন্দ আর চন্দন ছাড়া গুল গুগ্গুল দিয়েছেন প্রেম সমারোহে। আপনি আপত্তি করেননি, অথচ সেই ময়লা গা থেকে নামিয়ে রেখে রক্তচন্দন আর ধুনোয় বিভোর হয়েছে তাঁর অলক এবং স্নিগ্ধ তনু। কালকর্ম, বক্রতুণ্ড রূপ ধারণ করে যখন ছিন্নমস্তার সামনে দাঁড়িয়ে, আমি তখন বিদুর। চোখের সম্মুখে ঐরাবত সম কৌতূহল। দলমাদল কামানের পাশে সূর্য দেবতা পশ্চিমে ঢলে যাচ্ছেন। একবার মাৎসর্যকে দমন করার সময় ক্রোধকে কাছ থেকে দেখেছি। অথচ শিশুর আদলে সেদিন ঋষি মুদগল অর্ঘ্য দিলেন যাকে, আপনি মদন কাতর হয়ে এশা যোনিগন্ধে পাগল, তাই মোহন স্বরূপকে প্রেমহীন দেখেছেন। তখনও দক্ষণী স্নানেই মশগুল। একজন মস্তকহীনের মা মা বলে চিৎকার করায়, অনিকা তখন রুদ্র চামুণ্ডা। সেই প্রনয়ণ আলাপ, নটসুরে লাস্যরত এক তন্বী। রাগে শরীর রি রি করলে, সমস্ত মমত্ব বেরিয়ে আসে গোমুখ থেকে : স্রোতস্বিনী। স্কন্দপুরাণের প্রতিটি ছন্দে, হরফে বাংলা কবিতার আদল অনাবিল। আমি ঘুম থেকে ধীরে ধীরে উঠি, গাঢ় বিকেল ৪:৫৭ মিনিট। সেইমাত্র,  আবহমান কাল উত্তর আধুনিকে পাশে ফিরেছে। গৃহশ্রী গো, তোমার ভাতঘুম পূর্ণ যুবতী হয়ে আবিষ্টমনা।

২.

হে তিস্তা ; তোমার আঁচলের ভিতর খুব সুন্দর একটা
বাগানের সন্ধান পেয়েছি, যদিও
ঘুটঘুটে বিপদ, তবু তুমিই

পথ দ্যাখাও

এই চঞ্চলা কপালে শুধু জ্যোতিষের ন্যাকামি
আমি জড়িয়ে গেছি, বুধবার
আমি বারবার জড়িয়ে গেছি ধারালো জিহ্বায়

তারপরও...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন