দোঁহা

অক্ষয় কুমার বৈদ্যের কবিতা

 


একদল নীল চাঁদ 

নীল পাখির বাসরে জেগে থাকে চাঁদ ঘনীভূত রাতের অন্তরালে, এখানে আসলে রাত নামে দ্রুত
                 ভয় আর ভরসা ঘোরে দূরের চাকায়, 
নির্জন ভেঙে ভেঙে বেজে ওঠে ডালপালা
সদ্য স্নান সেরে ফিরেছে 
                          একদল চাঁদ 
মুখোমুখি বাতাস এখনও শূন্যতার খোঁজে
যন্ত্রণা শরীরে রাত্রি পেরোয় চৌকাঠ 
একটানা কাঠঠোকরা ঠুকে যায় গাছের বাইরে ভেতরে 
মাকড়শার জাল বিস্তর, আয়ু ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য ঘরে দাঁড়িয়ে পড়ে। 
দেয়ালের গায়ে সাজানো রঙ টাঙিয়ে চলে যাচ্ছে সময় 
                সাদা অথবা রঙিন 
আলো জ্বলে সারারাত উদ্বিগ্ন চোখে 
আর 
অনুভূতি হত্যায়  দৃশ্যমান হয় সরাইখানা। 



একটি মহাকবিতার জন্মের আগে 

জোৎস্না খেলছিল ইকির মিকির
হাস্নুহেনা, বকুল, কাঁঠালিচাঁপা এসেছে
লোকটি রাতের জানলার পাশে বসে জেগে 
কি যেন লিখে যাচ্ছে
ফুলের প্রেম, হাওয়ার দোল, পাখির ঘুম
অথচ প্রাচীন জনপদ সরিয়ে 
নৃতাত্ত্বিক পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অন্ধকার
নালান্দা স্রোতের মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন সময় 
উলঙ্গ সভ্যতার চোখে তাকাতে তাকাতে পুড়ে গেল গাছ 

জোনাকির শরীর থেকে টেনে হিঁচড়ে খুলে নিচ্ছে আলো
একটা মহাকবিতা শেষ করতে হবে স্বাতী ফিরে যাওয়ার আগে
তাই লোকটি তখনও লিখে যাচ্ছে...বৃষ্টির সংলাপ, মেঘের সংলাপ





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন