তৃষা
জড়পদ্ম। অপেক্ষা। শিকার।
যায় রন্ধ্রে সরু জিভ, নড়ে অন্ধকার
হায়! "উফ্ কৃষ্ণ" হাহারব, মধ্যে মধ্যে
জগতে মোচড়।
জড়পদ্ম বেয়ে বেয়ে
জন্মজল গড়াতে গড়াতে
জিভে বা পুরুষে লাগে—
বজ্রাহত, উপদ্রুত, সাদা...
অতঃপর গতি, স্থিতি, স্থিতি, গতি, তৃপ্তি, ভয়,
গতি, স্থিতি...স্থিতি...
"উফ্ কৃষ্ণ" হাহারব নীবিবন্ধ খসাতে খসাতে
ছাড়ছে না, চেপে ধরছে পটু, শান্ত চরাচর
ইতস্ততঃ স্রোতের তলায়।
সংসার
পালাও! দু'পাশে লক্ষ চোখ দ্যাখে
আমাদের। চোখ? না না, সন্ততির ভিড়।
অদূরে পোশাক থেকে ছিঁড়ে নিচ্ছে
ওম, স্মৃতি, রতিস্পৃহা হাজার শকুন।
পালাও! পাথর খাঁজে শুয়ে আছি দুজনেই
আদিম। আড়াল উড়ে গেছে।
লক্ষ চোখে সন্ততির ঘৃণা ছিটকে যায়, ওরা
দু'হাতে পাথর তুলে ছুঁড়ে মারছে আমাদের। রাগে।
পালানো যাবে কি এই রতিবদ্ধ অবস্থায়?
ঢিল খাওয়া ভাদ্রসারমেয়!
এভাবেই মরে যাব? আনন্দের মাঝপথে
এভাবে কি
মরে যাওয়া যায়?
আছড়ে পড়া পাথরের মধ্যে ঠিক রতিক্রিয়া
শেষ করব উভয়েই, উভয়েই শেষ করব লীলা।
তারপর মরে গেলে লোকে ভাববে, "হে ঈশ্বর!
বৈবাহিক থাকা একে বলে!"
...উপরে, বিপুল স্বর্গে, তোমাকেই ফের গাঁথছি
ছলে, বলে, কিছুটা কৌশলে।