ব্যথার ইচ্ছে
উজানের পাড়া থেমে আছে, আরেকটা জন্মদিন
রঙিন কাগজের ওজনশূন্যতা চোখে
মেয়েলি ঘ্রাণের দিব্য স্বস্তি জেগে থাকে সুদূর ব্যালকনিতে
নীল টোটকা,আচ্ছন্ন ফুলের মিল তো নয়
চোরা শরীরে আরও কত কী;
খাঁচার ভিতর সদ্য সন্ধ্যার কুপি-বাতি আর একনাগাড়ে জল
এই সংলগ্ন নিষাদ পায়ে পায়ে দোতলার অন্ধকার
নানান যৌনতা, শিশিরে ভেজা ফুলেল ফ্রক
সবকিছুই আড়াল যেমন অতিথেয়তার ব্যাকরণ
ধোঁয়া ওঠা পারস্পরিক বিকেলে এক আগন্তুক,
কীটদষ্ট খাটে সেই প্রতিমাটি আঁচড় কাটে আমার হাতে।
কোকুন
প্রতিটি রেখাই যেন বহুগামী স্বভাব-শীর্ণতা
ভয়ে ভয়ে আঁকি,
গাছের লাবণ্য এত সহজে ফোটে না জানি।
বেতের মন্থর নারী শুধু সুদূর ধুমকেতুর মতো;
তার প্রাচীন কপট দ্রুতি ছবিতে বসাই।
ভাঙা সিঁড়ি,নক্ষত্রের কালি মাখা উড়ন্ত ভ্রু
তাড়িত ফুলের দল এখনও এই জগতের অশ্রু
উদ্বেল আক্ষেপ হয় আমাদের মাঝে ;
কথা কানে পৌঁছে দেবে ব’লে এক সরু নিকষ নাব্যতা
জেগে থাকে রতি আকাশের পটে ।
লাল পিঙ্গল পুরুষ
আতস চোখে দেখে পলকা স্বপ্নের জাল,
ভাত ফোটার সুগন্ধ সেই জাল ছিঁড়ে উন্মত্ত বনে ছোটায় তাকে
চোখের নেশা ফুরোলে
তপ্ত লন্ঠনের গা বেয়ে ভাসে আবছায়া ‘বাবা’ ডাক