আস্তরণে যখন ঢেকে যায় শিহরণ
আস্তরণে যখন ঢেকে যায় শিহরণ,
তখন ছড়িয়ে দাও তোমার শঙ্খমালা
যার ভিতরে গুটিয়ে আসতে আসতে
ছোট হয় খরোষ্ঠী, পেতে রাখা আসন।
ঠিক তারপরই একটি গাছ এসে বুক
পেতে দাঁড়ায়, তার ভেতরটা তুমি নিশ্চয়ই
গুঁড়ো করে দিয়েছ মুঠিতে,
পা রাখি ধীরে ধীরে, আমাকে একটু জায়গা দাও।
মহাসাগরের গান শুনতে শুনতে আরো পূর্ণ হয়, চুরমার থেকে সরে আসার জন্য আরো সরল হল পেলব চাঁদ।
আস্তরণে যখন ঢেকে যায় শিহরণ,
পা রাখতেই পারো, তবে শঙ্খমালায় নয়,
রাখো ছাইয়ে, খুঁজে মরো নিজস্ব স্বর,
খুঁজে মরো দশ হাত, যাকে সহজ করা কঠিন।
পশম
ডুবতে ডুবতে আবার ভেসে উঠি,
এই সময়ে কোনো কথা থাকে না।
সুড়ঙ্গ ফেটে পড়ে কোনো অজানা
গোলাপি স্পর্শে, হওয়ারই ছিল।
সোনালি মৌমাছি সেদিন হঠাৎ
অগ্ন্যুৎপাতে মারা পড়ল, কার
জন্য পশম খুঁজতে গিয়ে?
এক মিনিটের নীরবতায় সব
রঙ কি ধরা পড়ে আদৌ?
এরকম একদিন রাস্তার বাঁকে
ঠিক কেউ এসে দাঁড়াবে।
পশম খোঁজো। চোখ বোজো।
ওম না হয় বেরিয়ে যাবে,
আগুন কি বেরিয়ে যাবে কখনও?