অন্তর্বাহিনী
কীবোর্ডে খেলে যায় অস্থির হাত
তুলিতে ভরে নেয় ধীরে ধীরে রং।
প্রতিবার আঁকি নিখুঁত দেহবাঁক
যেভাবে মৃন্ময় দেবতা গড়ে।
অতঃপর-
নির্বাক যাত্রা কুয়াশার অপষ্টতায়। বৃষ্টিযাপন।
যদিও সব যাত্রার আকাশ বা মেঠো পথ থাকে না।
তবুও যারা ইন্দ্রজাল গড়ে
তারা পার করে জনস্রোত।
পরস্পর মিশে যায় নীপবীথির নিস্তব্ধতায়।
যদিও এইসব মিলন অন্তর্বাহিনী
যার কোনো গন্তব্য বা পরিণতি থাকেনা।
প্রত্যাবর্তন
চোখ কখনো অতলান্তিক কখনো গলিপথ।
চোখের দিকে তাকিয়ে কখনো পৌঁছে যাই কোনো মরুভূমিতে। উষ্ণ চরাচর।
শঙ্খলাগা সরীসৃপের মতো হেঁটে
যাই ডুবে যাই বালিয়াড়িতে।
শূন্য পথ-
ডুবে যেতে যেতে শুষে ফেলি
অধর এলোমেলো ভাবে।
যতো দূর দৃষ্টিসীমা মরীচিকা খুঁজি
আন্দোলিত চরাচর আলোকিত পৃথিবী
প্রহর শেষে প্রত্যাবর্তন-
তখনও দৃশ্যপট এঁকে চলি
তোমারই চোখে।
অবশেষে গর্ভবতী পাখিদের মতো ঘরে ফিরি।
বাদামী চোখে লেগে থাকে মনখারাপ।
চোখ ফিরিয়ে নতুন দিনের
প্রতীক্ষায় এগিয়ে চলি অদৃশ্য
কামনাময় ক্যানভাস থেকে।
একাই।
সবটাই ঘোর? শুধু ফিরে আসাই সত্য?