দোঁহা

কুহেলি করের কবিতা

 


শীত দাঁড়ায় এসে

১)
হেমন্তের পাতা খসে বুকের মাঝে পড়লো-
দেখলাম, স্পর্শ করলাম;
শীতকালীন প্রকৃতির উপহার;
বুকের উপর।

২)
আজকাল দেখি হিম ও পড়ে,
হিরোশিমার বম্ব ব্লাস্টের মতোন, মনেহয়;
এই চেয়েছিলে তুমি শুধু? বুকের মাঝে মসৃণ, মস্ত এক নদী?
আমার নদীর জল ছোঁয়া-তুমি? শব্দ শুনতে কেমন? স্বাদ পেয়েছো?

৩)
যে দ্বীপ জ্বেলেছি বক্ষাংশে, তাঁর স্রষ্টা যে আমিই তা ভুলে আমি বুঝতে পেরেছি, ঘি ঢেলেছি।
হৃদি-জল-কাদায়,
 দাহক-
উদীয়মান,আতশী।

৪)
তুমি একটু অন্যরকম,
তাই জানি নদী, উপকূল সমুদ্রের মতো;
শাশ্বত এবং সায়রে চিরসাক্ষী।


গান ও তান

১) 
অসঙ্গতের মৃত্যুর মতো এসে নিশ্চুপে, নিঃস্বার্থে দাঁড়ালে;
চমকে উঠলাম: 
এও সম্ভব?
নিঃসঙ্কোচে চোখের তারা জ্বালিয়ে,
অন্ধকারে মুখ খানি দেখলে।

২) 
তাঁকে কাছে চাওয়া;
তাঁর সুখের জন্য-অসাধারণ সাধনা:
বিস্মিত, কোমল অভর্থ্যনা,
বাউন্ডুলের প্রশ্রয়।

৩)
ওষ্ঠাকোণে উপচে পড়া রোদ-
স্মৃতির ডালায় পূর্ণাঙ্গ যৌবনের হৃদ;
নেই কূল, নেই পরিমিতি-
আছো তুমি, মুক্তি ও সর্বকালের বিশ্বজোড়া পাঠশালা;
শোচনা, বিবৃতি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন