নীল যমুনার মাঝি
সিক্ত আঙুলের চির অভ্যাস ছিল শঙ্খ-সঞ্চয়
জল ভেঙে বৈঠার ঝাঁপ, তুলে আনে ব্যাকুল শ্বাস
নৌকোটি কেঁপে ওঠে। ঢেউ তাতে অবিরাম খোঁজে তল!
মুখভরে অমোঘ স্বাদ, ফেনা ও গন্ধরাজ
একান্ত স্খলন শেষে এই অভিযান — বিমোহিত জ্যোৎস্নার উত্থান
ওষ্ঠে ধরা আমর্ম তৃষ্ণার উপকূল
ভেসে ওঠে হাঁসের সরল গ্রীবার মতো ঊরুসন্ধিমুখ
অস্থির শরীর থেকে জন্ম নেয় তোমার লালপদ্মমুকুল
জবাকুসুম
তোমার গোপন জবা ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হল
ভোরের মায়া কাটিয়ে ডানা মেলেছে আলো
পাপড়ির রক্তাভ ঠোঁট কেঁপে ওঠে হাওয়ায়
এমন তো রাঙা হয়েছিলে তুমিও, গহন সমর্পণে।
দুরন্ত দ্বার খুলে গেলে প্রবেশ করে জন্মবীজ
ভ্রূণ সম্প্রদানের পর এখনও কে জেগে আছে
দেখি, আমারই নাভি, গ্রন্থি খুলে বসেছে একা।
পূর্ণিমার চাঁদ নেমে আসে জবার কোমল দ্বীপে
বিসর্জন শেষে জলে ভেসে যায় মাটির দুঃখ
লাজুক এই ফুল কী বলেছিল নতজানু হয়ে?
অপরূপ অবগাহনে, অন্তরদহনের জবাকুসুম
তোমার যোনির জ্যোতির মতো চির প্রজ্বলিত।