দোঁহা

রাজেশ কুমারের কবিতা

 


রাতের ইতিবৃত্ত

তোমার কাছে রেখে যাই যত অবদমিত ইচ্ছা,
বিকৃত কাম। শোক, তাপ, দুঃখ, যথেচ্ছ যৌনাচার।

 হয় তুমি দেহাতীত হও না হয় উদ্ভিদ।
এ শরীর লোভ লালসার,
স্তন, যোনি, তোমার নাভি থেকে ওঠা
পদ্মফুল সবই এখানে খাদ্য।
যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাওয়া, কঁকিয়ে ওঠা অতর্কিতে
সবকিছুই বিপণনযোগ্য।
এ দেহ ভালোবাসাহীন, গহীন অন্ধকার।

 এখানে আলো জ্বালিয়ে কি করবে! এ অরণ্যে সবাই নিশাচর


প্রেম অথবা হেঁটে যাওয়া

জ্বলন্ত মোমশিখা মনে করায় তোমার
ওই কাঁধের তিল, পাহাড়ি ঝরনা
নেমে আসা চুল।
কতটা নিবিড় হতে পারে এই শ্বাস প্রশ্বাস,
শরীরের সাথে মিশে থাকা শরীর। সেই সব
পাকদণ্ডী যা গেছে নিসঙ্গতার
খোঁজে।
অথবা গোপন ক্ষতচিহ্নের মতো
রাত যা ফুটে আছে অব্যক্ত
উচ্চারণে। 

পাখির বাসার মতো সেই সব সঞ্চয়
পড়ে থাকা চড়াই উতরাই।
তুমি বলো প্রেম, আমি বলি একাকী
হেঁটে যাওয়া।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন