দোঁহা

নিমাই জানার কবিতা

 


বিছানার অন্তরীক্ষ ও মাংসাশী খাদকের অপরা জিব

সুশ্রী নধর সুনয়ন বসুদেব ও ইন্দ্রের মতো ধ্বজভঙ্গ পৃথিবীর নীলাভ ঈশান কোণে দাঁড়ানো শৌণক ও ক্ষত্রিয় ঈশ্বরের মতোই আজকাল উলঙ্গ বেশ ধারণ করে বসুপ্রদেশ থেকে ফিরে আসি নিরবিচ্ছিন্ন মকরন্দ নিয়ে, শরীরে জ্বেলে দেই প্রদীপের মতো নরখাদকের লাল জিভের উষ্ণীশ, তরল দুর্গন্ধ

মার্গীয় রক্ত মাংসের থলথলে একটা তলপেট আমাকে ডাকছে রাতের গর্ভপাতের মতো, কালো অন্ধকারের নিঝুম টেবিলটি, যে চাঁদের মত একটা হড়হড়ে ক্যাকটাস বাগানে ঢুকে যাচ্ছে দুটো আঙ্গুল চিবোতে চিবোতে, পৃথিবীতে কতবার হত্যা করতে পারো তৃতীয় ঈশ্বর?
আমিও নিজের স্ত্রীলিঙ্গ গুলোকে বিছিয়ে রাখি নৌকার উপর আমার ২/৯ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের খর্বাকৃতি ক্লোরোপ্লাস্ট নদীর ভিতরে হাংরি নদীর তৃতীয় ভগ্নাংশ জুড়ে আমি বিছানায় উলঙ্গ শবাসনে শুয়ে থাকি মাংসাশী অন্তরীক্ষের ভেতর ঢুকে থাকার পর,

আমি নিজের নপুংসক বীজগুলোকে ছড়িয়ে দিচ্ছি ধাতব উষ্ণ পারদ বাগানের ভেতর, প্রতিটি মানুষ মাঝ রাতের দিকে উঠে ভৌগোলিক মানচিত্রের শিলাজিৎ উৎপাদকের অঞ্চলগুলোতে আঙুল দিয়ে ডোরাকাটা পেন্সিল বুলিয়ে বুলিয়ে উর্বর করে যায়, বীভৎস দৃশ্য শেখায় আমিও বীভৎস যৌনাঙ্গ প্রদেশে আঙ্গুলের মতো কাপালিকের ধারালো ব্লেডের লাল হাইড্রেনের ঢাকনা গুলো টুপির মত উল্টানো ক্ষরণের মতো বিদুষক ও অন্তর্বাসের গোলার্ধ শূন্য এডিটিং লাশ ও নিষেকের দানাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে আমার মতো শূন্য দেশে গর্ভবতী হয়ে যাবে ওম প্রদেশের বিদূষী প্রায়শ্চিত্ত নীলাভ কক্ষে , পুরোহিত প্রেতের জন্য মন্ত্র উচ্চারণ করছেন

দেবদিতি জানে কেতুমাল পাহাড়ের ভিতর লুকানো অসংখ্য সূক্ষ্ম প্রদেশের রোঁয়া ওঠা বিবিধ আয়ুময় শ্মশানের মৌলিক জিবেরা জিভ দিয়ে চেটে চেটে খাবে তাদের অস্থি মহাকালের ভূদেব সমগ্র, ইন্টারকোর্স রক্ত প্রবেশের গোপনাঙ্গে লাল থকথকে ঔরস বিষগুলো নিয়ে আমি কেবল মাথার উপরে বিলুপ্তপ্রায় মাংসপিণ্ড গুলোকে উড়াবো বলে ঝুলে থাকি ৩২ ইঞ্চির শূন্য কুমায়ুন প্রদেশের প্যাডেড সাপের গলার মতো,

ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো গলাটার কাছে একটা অসুখ নির্জন বদ্বীপ হয়ে শুয়ে আছে আমি মাঝরাতে উঠে পৃথিবীর ক্ষুধার্ত যৌন রোগের এক্সপোনেনশিয়াল  জানতে চেয়েছি বিক্রমাদিত্যের মতো,


জিওল কাঠ ও পুরোহিতের কৃত্রিম নোঙরখানা

পুরোহিতের মতো ধাতব নপুংসক লাল কালচে পাথর নেই সে তৎক্ষণাৎ আগুনের ভিতর গলাটা ঢুকিয়ে দুটো জিওল মাছের বাচ্চা প্রসব করালো, আমি বারবার নাভিমূল থেকে আকণ্ঠ মদ্যপ সাপের লিঙ্গ নির্ধারণ ভুলে গেছি মাকড়সার তলপেট ছিঁড়ে খাওয়ার পর

পরাজিত অন্ধকারের মতো ভাসমান ঈশ্বর, ঠিক আসেন আমার ঘুমের ভেতরের উদ্ভ্রান্ত পৃথিবীর জরাগ্রস্ত শূন্য কম্পাঙ্কের সাদা কাগজের মতো, বিদেহী প্রেমিকাকে নাইট্রিকে ডুবিয়ে রাখি সে আমার মৃত্যু দৃশ্য দেখতে চায় না বলে, তোমার দুর্গন্ধ পেচ্ছাপ জমছে আমার কালো তিলকের শ্যাওলায়

সারারাত একটা উলঙ্গ সিঁড়ির খাঁজ থেকে দেখে ফেলি সাদা লোমশ অভয়ারণ্যের নীল আপেল বাগান, যেখানে ভূতাত্ত্বিক এক একটা ভৌগোলিক উপমহাদেশ আমার খাদ্যের মতো আর কোনো বিষধর রক্তকণিকা আমাকে সেক্স টয় কিনে দেবে না,
হরিণীরা জীবিত গুহা মুখের মত গোলাপি চাটছে, সমকোণ বৃষ্টি নিষেক অপুংজনি পিঁপড়ে লাল জড় পদার্থের পরিচ্ছদ স্পাইরাল হতে হতে লাল আঙ্গুরের মতো অপভ্রংশ শীতল স্পর্শ মুছে ফেলে আমি ঠিক পরাজাগতিক অন্ধকারে হাতড়াতে থাকি আর একটা বৈসাদৃশ্য নগ্ন আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, 

যেখানে আমার স্থলপদ্ম রঙের হরিণী আমাকে হত্যার পর নিয়ে যাবে প্রাচীন অন্ধকূপের ভেতর আমি সেখানে শুধু স্নান পরবর্তী ভেজা জামাগুলো মেলে দেবো ভিসুভিয়াসের মাথায় আমি তখন আগুনে পুড়ে যাওয়ার মত রুদ্র দগ্ধ ঘামের ভেতরের বেজে ওঠা সিক্সটিকে ক্যালসিয়াম অতিলৌকিক পাঠশালার রমন ও ঘাম
আমি কোন আশ্রমিক নারীর মতো উলঙ্গ রন্ধনশালা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনব ঋষি কন্যাকে অথচ ফুলের মতো আমি ঘষতে থাকবো আমার তরল মুখ, পাগল হলে মানুষ একবার শঙ্খচুড় ও জেব্রা হয়ে যায় বিলাসবহুল ব্যবহৃত ওভরাল এল খেয়ে

মদন রসের উন্মত্ত তৃপ্তি ছাই খাই, সকলেই ভেঙে ফেলবো মাঝরাতের বিবিধ নৌকা আমি শুধু গর্ভবতী কূপে ফেলে আসা তরল রসের অগ্নাশয় আমিও পুরোহিতের সাদা থানের ভেতর যৌনগ্রন্থিহীন শ্মশানের পরিসীমা নির্ণয়ে ঢুকিয়ে দেবো অতৃপ্ত সাধুর অক্ষৌহিনী ৩০° জ্বর শলাকা, উৎসর্গ কফ

সোনার মতো তীব্র তরঙ্গ নিয়ে সরলরৈখিক শুক্র রেখাগুলো সাপের মতো গলায় জড়িয়ে দোল খাচ্ছি বিষাক্ত অ্যান্ড্রোমেট্রিয়াসের তলায়, সরাইখানার কয়লার থেকেও সূক্ষ্ম গন্ধ উঠা বিষাক্ত আঠা জমা করে রেখেছি পলিথিন ব্যাগে, সারথী প্রেত হও এবার পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে আছি কাঠের মতো

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন