দোঁহা

নিমাই জানার কবিতা

 


ঋণাত্মক উষ্ণতার জড় ও তৃষ্ণার্ত বর্ণমালার ফরমালিন

জড় পদার্থের মতো ঝুলে আছে শিব শরীরের মাংসপিণ্ড, জলজ রোম গ্রন্থির আর্তনাদ শৈলেশ্বর নৌ বাহিনীরা পিচ্ছিল পৃথুলা শরীরটিকে চুনাপাথরের আগ্নেয় শুক্র ঘরে বন্দী রেখে ঝুলে পড়ছে কাঞ্চন ফুলের নিষিক্ত গর্ভকেশরের মাথায়, একজন কামুক মহারণ্যের ৭০ টি পদ বিশিষ্ট কাল প্রবর্তক মরুদ ক্ষেত্র ছিঁড়ে দিচ্ছে সর্বগ্ৰাসী আগুনের বস্তুময় পুষ্কর দ্বীপে, মাঝরাতে নারীদের মাংস ফুলে ওঠে জৈবনিক সিলিকেটেড ফরমালিনের সংরক্ষণাগারে, মাছের মতো গলা কাটছে ধূপ বিক্রেতা

এখনও রাত্রে ময়ূরাক্ষীর স্বর ভেসে আসছে আমার দিকে। তীব্র বৃষ্টির মোলাস্কা; উপসর্গময় বোতলের ভেতর থেকে চলকে পড়া রক্তের জল মেশানো অসুস্থ আবহাওয়ার পারদ দুলছে, ভিন্ন মদের বোতল, ঠংঠং মহাপ্রবাহের তৃতীয় আকৃতির নাভ ও সাপের ফনাটা উঁচু করে আবার গলায় পেঁচিয়ে ধরল আরক্ষিতা যক্ষের মত, জলপাই পুলিশেরা রাতের বেলা খুব কম দেখতে পায় ,
২০ রঙের পাথর , ১৮ টন যৌগিক সর্পগন্ধা রস নিয়ে কালো কালো পিচ রাস্তার ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে একদল সরীসৃপ মানুষ তাদের তলপেট চেরা মাথায় বরফ আগুন পিণ্ডের লাসভেগাস মৃত ঝিনুক কুড়াচ্ছে হলুদ রঙের পর্যটন ব্যবসায়ী। হোটেলের ফিসফ্রাই
তীব্র চিৎকার করছে স্পষ্ট ব্যঞ্জনবর্ণের হরিণীর থেকেও আরো সুদৃশ্য কিছু সন্দেশখালি প্রদেশের লাবডুব বৃষ্টির কোহল সন্ধান, নেই স্থাপত্য নেই অথচ আর্তনাদ আছে সাপের শরীরের মতো গঙ্গা নদীর সন্নিহিত বগল কাটা জামায় ফুলের রেনু লেগে আছে, কণ্ঠস্বর চটকে দেওয়ার মতো ফাঁসির দড়িটা পেন্সিলের মতো পিচ্ছিল হয়ে উঠছে এই সৈন্ধব উপবনের জাগাতি ভূমি রেখায়,

গলাটার ভেতর লাল মাকড়সাটা ১৮ পিন্ডের দুষ্প্রাপ্য ঐশ্বর্য রস নৈবেদ্য দিচ্ছে বক্ষ নির্গমন কোন আত্মস্থ মহাজ্ঞানী বশীভূত মহা ঋষির তৃতীয় লিপ্তপদ দৃশ্যের অবিনাশী ভৈরব যোগকে।
মৃত মানুষদের জন্য ভুল করে সামন্তরিকের অষ্টম অধ্যায়ের নৃতত্ত্ব শূন্য গর্ভটি ফাঁকা রেখে গেছে আমার মা যে কয়েক কোটি যোজন দূরে বসে চুলের জন্ম জট ছাড়াচ্ছে
মিথ্যা অসুরের মতো আমার শব বর্ণমালয়ে মৃত ঞ চিহ্নগুলো একটি কালো প্লাস্টিক দড়ির অপরপ্রান্তে ঝুলে ঝুলে নৃশংস ঈশ্বরের দৃশ্যের সাথে রমন তরবারিটাকে কালো আঙ্গুরের নিতম্বে ঝুলিয়ে দিচ্ছে কেউ অদৃশ্য গলগন্ডের মতো।


আগ্নেয়াস্ত্রী একটি স্ত্রীলিঙ্গ বিচিত্র বীর্য ও দেয়ালের হত্যা রহস্য

আগ্নেয়াস্ত্র এখনো গর্জে ওঠে, আগ্নেয়াস্ত্র এখনো নড়ে ওঠে থার্ড ল অফ নিউটনের ভরবেগ খাতায়, সত্যের ইজাহার পর্ব স্থগিত থাকে রায়দান পর্ব পিছিয়ে যায় টেবিলে চলে কাঁটাছেড়া,
অন্তর্বর্তী কমিশনের সব পাখিরাই লেজ নেড়ে নেড়ে হাস্যকর কুকুরের মত অন্ডকোষের গন্ধ নিয়ে শুয়ে থাকে নক্ষত্রের সম্ভোগ দৃশ্য দেখবে বলে

থু! কমিশন থু! বন্ধ দ্বারকক্ষে চলে গোপন জবানবন্দী, মুখ ঢাকা স্বীকারোক্তি ভয় লাগা আর্তনাদ অনার্যদের নৃত্য পিশাচের বীভৎ শর্ত, হাস্য যক্ষের তৃষ্ণার্ত দাঁতের ঝলকানি চোখের সামনে সর্বদাই নিশাচরের মতো দুলে ওঠে বিতস্তার কুন্ডলীর সোনা জল পাক খাওয়া ধৃতরাষ্ট্রের নদীতে
যুধিষ্ঠির কোনদিন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের শেষ পর্ব দেখে যেতে পারেননি, গীতা বাইবেল পুণ্যকথা সব কিছু জোয়ার নদীর নিচে কেউ পা দিয়ে পুঁতে দিচ্ছে,  পাপ করছে মহাপাপ কণ্ঠ রোধ করে মুখের সত্যগুলো কেড়ে নিয়ে মুখে ঢুকিয়ে দিচ্ছে আতপ চাল তুলসী পাতা সাদা অশ্বগন্ধা সাদা ধূপ, অস্ত্র একদিন ধ্বজভঙ্গ হবে


পিছিয়ে যায় মিছিলে ব্যবহৃত মোমবাতির সোল্ড আউট প্যাকেটের এক্সপায়ারিং মোড, উড়ে যায় মাথার খুলি, দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাক্ষসীরা এখনো হাসে বিষাদ যজ্ঞ আর বৈকুন্ঠের আপাত দেবতাদের সাথে, শীতল ঘরের বৈজয়ন্তী মালা ফুলের সাথে একসাথে কবিতা গুলোকে গলার ভেতর থেকে কাঠ বাদামের মত অদৃশ্য তরঙ্গে হেসে ওঠে, ধাতব তরোয়ালের আধভেজা অধ্যাত্মক কাচের ভেতরে আমার বাবা মূত্র পরিষ্কার করে, আমার বাবা সাদা নারী লিঙ্গের পোশাকে ঢুকে পড়ে রোজ দুবেলায়, আমি তাকে পাতলা জলের মতো ওষুধ খাওয়াই।
এখনো রক্তের গলাকাটা নদী অসংখ্য নদী উর্বর বনভূমি হৃৎপিণ্ড ছাঙ্গর নৌকার রেনুস্থলী পাকা রাস্তার পোস্টার সবকিছু হাওয়া বদলে উঠছে। দেয়ালে পাঁচিলের গায়ে জ্বলতে থাকে গলায় গেঁথে যাওয়া বুলেটের রক্ত ময় মাংসপিন্ড, নাট্যকর্মীটি ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ডিং চাইছে


প্রতিবাদ হয় কণ্ঠরোধ হয় শীতল ঘরে আগ্নেয়াস্ত্রের উদ্ধত শাসানি হয় কালাপানি পেরিয়ে শীতল জলদেশে একাকী নির্জন হোয়াইট রুম টর্চার হয় স্লো পয়জনিং হয়, চিৎকার করে কেঁদে ওঠে মাকড়সার সর্বনাম পদ
শুধু একুশের মাতৃভাষা বলার জন্য রাত ২ টো ২০ মিনিটের ঠকঠক দরজা ঠেলে বাঘের খাঁচায় স্তন, জরায়ু, উরু দেহের মাংস রেখে আসতে হয়! থু! পাগলাগারদ থু!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন