পরশ
জীবিকার তাগিদে এক একটা ট্রেন
ধুলো পাতা উড়াতে উড়াতে শীতল হাওয়া
মেখে এক গ্রামদেশ থেকে আর এক দেশে
চলে যায়, আমরা গ্রানাইটের জোৎস্নায় ভেসে
ভেসে দেখি উলুবন, পৃথিবীর নদী,
গভীর শীতে কাললেখকের সন্দিহান চোখ
আমাদের বুকের বারুদখানার দিকে, আমাদের
মুষ্টিবদ্ধ কথোপকথন ও মরণতাপ
নির্বিঘ্নে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে
থাকে।
যা যা ফেরত দিয়ে দিয়েছি
পাঁচিলের উপর বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি,
কারন আমাদের এই জেলা শহরে তুমি এসেছ,
তুমি এসেছ এটা আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা,
এখানে সব ঘটে যাওয়া ঘটনা রটনার মতো ঘুরে বেড়ায়,
সেই ঘটনাচক্রেই তোমার সাথে আলাপ,
নিজের থেকে তোমার সাথে আলাপ করবার সাহস আমার কোনদিন হতো না, বোধ করি তোমার প্রতি স্বাভাবিক কৌতুহল অত্যাধিক বেশি, তোমাদের অবস্থা পরে এসেছে, পশ্চিমের মাঠের বেলা পড়ে এসেছে রেলগেট পড়ে আসার আগেই আমি ছুট্টে পার হয়েছি,সেলুনে-খুব ভদ্রভাবে চুল কেটেছি, ফুটবল ও ব্যান্ডেনা ফেরত দিয়ে দিয়েছি,
আমার এই পুরোপুরি উল্টে পাল্টে উঠতে উঠতে নদীর পাড়, বুড়ো শিব মন্দিরের ঘাট, পরিত্যক্ত সরকারি আবাসনের রাস্তা আমরা হেঁটেছি হাত ধরে, তারপর তোমরা আবার কোথাও একটা চলে গেলে, ঠিক যে ভাবে বিকেলের সূর্য পিছলে পড়ে,
আমার ভেতর থেকে তুমি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে আবার অন্য কোথাও চলে যাও,তোমার মতোই-
ব্যান্ডেনা ও ফুটবল কোনও দিনও আর জীবনে ফিরে আসে না।
অবস্থান্তর।
সব উল্টে দিয়ে পাল্টে দিয়ে তছনছিয়ে
এখন কাকে হাসতে শেখাও...
আকাশী ঘাসে ভাসতে শেখাও...