পিরামিডের বিশুদ্ধ বিবরণ ও নিষিদ্ধ প্রজনন তন্ত্র
যৌনাঙ্গবিহীন কালো অনুষ্টুপ ঘোড়াটি প্যাকেটজাত পিট থোরিয়াম কয়লা খেয়ে নিঝুম ঘনত্বহীন দোকানের ভেতর থেকে বেরিয়ে ক্রমশ মেনোপেজ অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে,
জং ধরা প্লেট, কাঁচের মাথা, ব্ল্যাকবোর্ডের ডানা আর নিচু স্তনের বীভৎস মিছিল চিৎকার, ম্যাগনেটাইট খনিজ বিছানা, কালো কাঁচের পাত্রে নন স্টেরেলাইজড স্টেনলেস ছুরি দিয়ে তিনটি গর্ভজাত সুড়ঙ্গ কেটে দিচ্ছে বিস্তৃত স্বাদু লালাপুরের রক্তজ নদী মাথার সুষুম্ন, ঋষি চমৎকার ধবল চিৎকার করছে, বায়ু বায়বীয় ক্রোধ লালা ইবদাতের মতো রিন রিন শব্দে ভেসে যাচ্ছে অদৃশ্য বায়ুস্তরের লাল ইয়ং গুণাঙ্ক, রক্তাক্ত সমর্পণ চাইছি।
প্যানক্রিয়াস থেকে পচা গন্ধ উড়ে আসছে অনাবিষ্কৃত মৃতদেহের, ক্ষেপণাস্ত্র জ্বলছে, লাল চুল্লির ভেতরে ক্রমশ কালো আঙ্গুরের বিষাক্ত থলথলে থলিগুলো আমার জন্য মৃত পোশাক তৈরি করছে একটা মৃতদেহ অসংখ্য নদীর উষ্ণ স্রোতে গিয়ে তার পারমার্থিক গর্ভবতী বিভাজিকা খুলে দেয়,
জলপ্রপাতের ভেতরে জন্ম নেয় কালো কালো এপ্রিকট বাগানের নীরব সায়ন্তন দৈত্যের সংকর দেবতা, নিষিদ্ধ ঘুমে লাল ব্লাউজ ছেঁড়া কুড়িয়ে অরিগামি বানাই
বৃষ্টি উলঙ্গ উত্তাপহীন ডিজিট্যাল নোমাড আর ইন্দোনেশিয়ার কোন নীল সন্তরন উপকূলে দাঁড়িয়ে ধাতব নদীতে আঙ্গুল ডুবিয়ে সমুদ্রের প্রত্যাবর্তন দৃশ্য দেখছে কেউ, আমি হাফ কেজি ব্রয়লার মুরগিতে আমার কুচানো মাথাটা মিশিয়ে কসাইখানার ফ্রাইং প্যানে নাচছি, ভক্ত কৃষ্ণ প্রসাদ বল সঞ্জীবনই মন্ত্র গাইছে
কালো রঙের ক্ষেপণাস্ত্রে আমি আঙ্গুল ডোবাই পৃথিবীর পিরামিডের সুচিমুখ স্তনাগ্ৰ ভেঙে ফেলি ধাতব লৌহের আঘাতে, কম্বোজের রুদ্রাক্ষ চিবোই, লাল সৈনিকদের ধৃতরাষ্ট্র পা গুলোকে কাঠের আলমারিতে ঢুকিয়ে রক্তাক্ত চকলেট ফ্লেভারের মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পড়ছি,
আমি অদৃশ্য প্রমিগ্র্যানেটের বাগানে অমুলদ পাপ নিয়ে মহা দৃশ্যের আঁতুড়ঘর থেকে বেরিয়ে হলুদ রঙের অপ্সরা তৈরি করছি, আর একটা কুয়াশা পরীর নিচে থাকা চাঁদ আমার সামনেই নগ্ন অন্তঃক্ষরা দৃশ্যের পিপাসা খুলছে, সাগ্নিক ছায়া আসলে এলজেব্রাল ঠোঁট
ম্যাগনিফাইং জানালা ও বিবর্ধিত উটের আধ খাওয়া আপেল
আমি নিজের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা আর কোন মহা অভিকর্ষজাত শঙ্খ প্রদীপের হরিৎ বর্ণ সূর্য রশ্মির কোন অপ্রাকৃত বিমানের সজীব যানবাহন নয়, আমার এ দেহজ খোলসে দ্রুত গতিশীল একটি বাদামি কফের পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে, এক্স রে রঞ্জন রশ্মি তৃতীয় কক্ষজাত ধনুকটি রেখেছি ব্রহ্ম কুণ্ডে
সারারাত ব্যাকটেরিয়াল ম্যাগনিফাইং কাঁচের কনভেক্স ক্যাভিটিতে ক্ষয় রোগের অধ্যুষিত ক্রেনিয়াল নার্ভ গুলোর থেকেই জিরাফের বিশুদ্ধ রমন দৃশ্য দেখাতে দেখাতে জানালার পাশে অদৃশ্য সুগন্ধি উড়িয়ে দিচ্ছে, শরীরের সব মাংসগুলোকে আমি টেনে নামাই জমিয়ে রাখি একটি ছায়ার ভেতর ছায়াটি গর্ভবতী হয় আর সকলে খিঁচকি দেওয়া দাঁতের ভেতর থেকে কৃষ্ণ গহ্বরে নরম তুলতুলে যৌনপোকা বীজদের ক্রমাগত মৃত সৎকার করে,
আমি বহুমুখী আমি ঈশ্বরের মুদ্রাদোষ শংকর প্রজাতির অতি সূক্ষ্ম ব্যাধ, ব্ল্যাক আউট সিরাপ মাথার উপর ছাড়া রক্তক্ষরণ আঙুল দিয়ে বাবাকে নাড়াই বাবা আমাকে নাড়ায় আমি আসবাবপত্র নাড়াই আমি কাঁচের জানালা নাড়াই আর জানালা থেকে সারি সারি উটেরা বেরিয়ে যায়। আর মহা ঘূর্ণিপাকে রোপন করি তৈলাক্ত সার ও মহাজাগতিক পর্বতে বেড়ে ওঠা ঔষধি বৃক্ষের তরল সান্দ্রতা, আমি মৃত বাল্মিকীকে ফরমালিনে ডুবিয়ে রেখেছি
আমি সনাতন আমি একাত্মক অভিমন্যু আমি এক থেকে বহু অথবা বহু থেকে এক সমসত্ব সাধকের লালকৌটো থেকে আমার জনন প্রক্রিয়া বেঁধে দিচ্ছি কালো সুতো দিয়ে,
খসে পড়ছে আমার চতুর্দশপূর্ব জন্মের নীলাভ আত্মা, আমি ল্যাবরেটরি ডিসঅর্ডারে মৃত আত্মার কাঁটা চামচে মুখ ঢুকিয়ে শিউলিপুরের পীতাম্বর দৈর্ঘ্যের জনন ছিদ্র চিবোই, প্রতিটা মাল্টিমিডিয়া সাইবার ক্যাফে অসময়ের সংকীর্তন বাজছে, একটা মৃত শিশু পোড়ানোর জন্য হ্যালাইন দ্বীপের নিঃশব্দ কান্নার মত শুভ্রজ্যোতির পাতলা নখর আর আঁচড়ে ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে যাওয়া কাঠের ভেতর থেকে বেরানো অব্যয় পদের মতো অদৃশ্য পরিচ্ছদে লোনা মহাপ্রাকৃত চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্য দেখছি,
একটা আত্মহত্যাকামী মানুষ একা হেঁটে হেঁটে ছায়ার শরীরে কালো অ্যামোনিয়াম গ্যাসের সূচী ছিদ্র মুখ জুড়ে দিচ্ছে, কঙ্কাল বিক্রির হাটে কেবল আমাদের জাহান্নাম কেনাবেচা হচ্ছে