দোঁহা

ছায়াময় ইতিবৃত্ত

 



শম্পা সামন্ত

আকাশের তলায় কোথায় ঘরকন্না! কোথায় মারণ ফাঁদ পেতে কস্তুরী নাভির জন্য পাগলমতী মেয়ে তুই? গোধুলি সমাচ্ছন্ন। বিদায় বিধুর আভায় লাল হয়ে আছে ঠোঁট। কার মিলনের পল চেয়ে থাকিস? এখনও? নিজেই পুড়ে মরিস নিজেরই জ্বলন্ত অগ্নিশিখায়। মোমের গলনে। আর ছত্রিশকোটি বিষ মাখানো শরের আঘাতে ভেঙে যায় জর্জর মোহ শলাকা। ওগো মোহনীয় প্রভা! তোমার অগুনতি নভোতল ঘিরে বাজাও অনিয়ম, বাজাও ডম্বরু। ঝাঁপ দাও আলোকবর্তিকার ঘুর্ণন প্রক্রীয়ায়। আমি যে নাবিকের দেহ নিসৃত ঘ্রাণ নিয়ে ভরেছি অলিন্দ, নিলয়ে রেখেছি, আর আপনিই তার বুকের ঘর ভেঙে বায়ুসমাচার গ্রহন করি।

এক নীলরঙ মাছরাঙা দোলে।
এক ছুম ছুম রক্তের আনাগোনা শুনি।উথাল পাথাল প্রবাহের ভিতর। যখন আমার প্রত্মতাত্বিক গুহার ভিতরে ঢুকে যায় বিস্তার। চোখ খুলে প্রবাহিত হল নদী।এখানে টাঙানো হল ফেস্টুন। পরবর্তী পর্যায়ের সভা, নারী সংক্রান্ত।
সভার সামনে দিগন্ত বিস্তৃতি ক্লান্ত পথরেখা।

আর সমাহত বুক ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছে মিলনেচ্ছা, যযাতিক শীৎকার,বায়ুপতাকার শূন্য ছায়া।
ছায়াময় ইতবৃত্তের ভিতর।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন