দোঁহা

প্রতীক মিত্রের কবিতা

 

অন্তরঙ্গ আগন্তুকতা

এইসব অন্তরঙ্গ আগন্তুকতা ভালো লাগে না।
ও হাসে, পরক্ষণেই ঝগড়া করে।
ওর প্রণয়প্রদেশে এত দ্বেষ।
ফোনে প্রত্যাশা কান পাতে মিঠে কন্ঠস্বরের।
বদলে উন্মাদিনীর প্রলাপ ভেঙেচুড়ে দেয়
ধৈর্য্যের পিচ রাস্তা।
কিছু জিনিস যে আর সমতল হবে না
এটা মেনে নিতে পারে না মন।
অথচ আমি চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি এটাই ভেবে চলি।
সে যখন প্রতিপক্ষের মতন আমার দিকে ছুঁড়তে থাকে বাক্যবিষ
সে যখন বারে বারে অভিযুক্ত করে প্রমাণ করতে থাকে আমি নভিশ
আমি বুঝতে পারি না
ওটা আসলে ও নয়।
আসলে ও নিজেও চায় সমন্বয়।
পায় না যখন তখনই 
সার্থকতা হাতরায়।
আমি যদি পারতাম আর একটু বাড়াতে
আমার বোধের, সাধ্যের সীমানা!
আমি মানুষ হলে সেও আর একজন…
অথচ আমার অকারণ হাপিত্যেশ।
যদি না বলে পারতাম: 
এইসব অন্তরঙ্গ আগন্তুকতা আর ভালো লাগে না!


মাঝে মাঝে

ও মাঝে মাঝে দিশা হারায়।
পথ আলোকিত যদিও।
ধৈর্য্যের কাঁচঘরে বন্দী থাকে ওর পুজিতা অবতার।
অতীত, আগামী…সময় পরিভ্রমণ চলে
ওর এক সত্তা থেকে অন্যে।
কেন যে শেকড় আলগা হয়ে আসে?
কেন যে বাঁধনে সেই আত্মীয়তা থাকে না?
ও হেসে ওঠে অকারণ।
ও অভিযুক্ত করে আয়নাকে।
ও কেঁদে ফেলে ভীড়ে।
আকর্ষণের চলটা উঠে আসে।
বয়সের ধাপ আরো কয়েকটা মাড়িয়ে…
দ্বিধার অন্ধকার আরো ভারী আর দীর্ঘতর হয়।
ও বোঝাতে চায় এটাও ওর একটি পরিচয়।
ওর দিকে যদি একটা হাত তখনই বাড়ানো যায়;
যদি…পথ আলোকিত থাকে।
ও মাঝে মাঝেই দিশা হারায়।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন