দোঁহা

মেনোপজ

 


উৎপল দাস

অস্টিওপরোসিস

-১ দুর্দান্ত মেটামরফসিস

শুরুতেই থিতিয়ে যাচ্ছে ইস্ট্রোজেন নামক মুড মেকিংয়ের জবাবদিহি। এক্সেল শীটে ডেটা এন্ট্রির ফর্মুলায় রয়েছে অনিয়মিত গোনা দিনের হিসেব নিকেশ। গোপনে কিংবা ওপেনে আমরা যে কেউই নাপিত— এক লাইনের জোকসের মতো এখানে কেরানীর চাকরি নিজেকেই করতে হয় তাও বিনে পয়সায়, কেননা ডাক্তার মহাশয় জানতে চেয়েছেন কতোদিন ধরে ভিজছে রক্ত-স্নান অথচ তিনি কখনই কসাইখানায় ৬ মাস কাজের অভিজ্ঞ শংশাপত্র সংগ্রহ করেন না। যে পুরুষ ফোর-প্লের বাহানায় গর্ভরোধ সংক্রান্ত প্রাকৃতিক টোটকা মান্য করে, সে-ও কি লুকিয়ে লুকিয়ে স্বমেহনে মত্ত?

 আত্মরিতমগ্ন পিসিওডি-র আওতাধীন স্ত্রীলোককে জানাতে চায় না তীব্র কাম বাসনা! উত্তরে মূলত কাফকা ভেসে আসে; স্বপ্নের সাথে যদি কিছু মেটামরফসিস আক্রান্ত হয়, তবেই একমাত্র ওটিপি বাইপাস করা যাবে দুর্দান্ত মহুয়া রসে মজে থাকা হাতির চলনকে

০ জাঙ্ক ফুড সমীপেষু

মেটামরফিন-এর অঙ্কুরোদগম অশেষ যন্ত্রণাকে প্রশ্রয় দেয় না। এতে বিবাদিপক্ষ খুশি হলেও রোগী মানুষটি নজরবন্দী আট-কাল বারো-মাসের প্রায় চার সপ্তাহ অনিয়ন্ত্রিত মাসিক-এ একেকটি ভয়াবহ রাত পেটে হটব্যাগ বেঁধে রাখে গোল্ডেন রেসিও মেনে। অনিমেষ চোখে শুনতে পাওয়া যায় চৈত্র মাসের কুকুরের সংকীর্তন দুপুর-রাতেও কর্কশ লাগে না হয়তো। জটিল পাটীগণিত চক্রবৃদ্ধি হারে অ্যানাটমির আলনা ও জানলা শিখছে। রেলিং থেকে খসে পড়া গামছার প্রান্ত ভাগে জমা কুচো চিংড়িকে পলিও টিকার জোগান দিতে অক্ষম সরকারী কর্মচারী। যে যার মতো গোপাল ভাঁড় গপ্পো ফেঁদে ডিভোর্স ল-ইয়ারের থেকে শিখছে ফোর-নাইন্টি-এইট-এ ময় অ্যালিবাই কীভাবে পিঠ বাঁচাতে পারে সম্পর্ক সত্তার। ভোরের আলো হয়তো এখনও কারোর কপালে জুটে নিশ্চই, নয়তো কেন বিড়ালের দন্তস্য গলায় পেঁচিয়ে সুপরস্টিশনকে এন্টারটেইন করে! এও তো সত্য জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চললে পিসিওএস-এর রেডিয়াস কমানো যায় কিঞ্চিৎ হলেও

১ মহারথী প্রথার লঙ্ঘন

অসন্তুষ্ট বেড শেয়ারিংয়ে হররোজ ঘুম ভাঙছে শুষ্ক আদরে কখনও ইনসোমনিয়া বা আর্লি রাইসিংয়ে প্রাপ্ত অটো-রিপ্লাই যথেষ্ট নয় পারিবারিক সদস্যের পুনঃনির্মাণে; অথচ যে স্বপ্নটি জটিল মৃত্তিকার সহবাস যোগ্য তাতে সূর্যের আলো স্পর্শ করে না এমনই অহংকার যে গর্বে পা ফুলে কলাগাছ নিয়তি পোষ্টমেনোপোজে রিলিফ মিলে ৩৪/২ - কলাপাতা লেনে, ইনোসেন্ট কার্যকলাপ ফিয়ান্সের বুন্ধুকে ক্রমশ হিংসুটে ওল্ড স্কুলে পরিণত করছে, যেভাবে নড়ে ওঠা নক্ষত্রের টেরিকাটা ফর্মাল ডিহাইডে মৃতবৎ কোবরাটি জ্বলজ্যান্ত খোলস ছেড়ে গিরগিটি কিংবা বানর এর উত্তরসূরি হয়ে ওঠে, এখানে দূরত্ব সংক্রান্ত ব্রিজ ও ট্রেনের গাণিতিক সমস্যাগুলো, পিরিওড পরবর্তী লাঞ্চ ব্রেকের জানান দেয়, এভাবেই প্রত্যেক জটিলতা এড়ানোর জন্যই যেন লিঙ্ক ফেলিওর নামে, শনির হেডফোন পরিহিত কানে কিংবা আল্ট্রা সাউন্ড দ্বারা নিরীক্ষণ যোগ্য অভিমন্যু বধের হরমোন থেরাপিতে সৃষ্টি হয় কোনও এক আশ্চর্য অবতারের।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন