দোঁহা

রূপক চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা


 তিন খন্ড
১) অদ্ভুত ঘোরের ভেতর জেগে আছি।

ঘোড়সওয়ার নিজ হতে
গতিবেগ রেখে 
আবেগটা নিয়ে গেছে
ঘোড়ার পিঠে করে, দূর আরব্য অচেনায়!
তবুও ঘোরের ভেতর খুচরো বৃষ্টিপাত দেখি,
টিমটিমে চোখের আলো দেখি
জ্বরঘ্ন জানালার পারে।
ধারকরে কেন অভিমান 
সস্তা শার্টের নিচে জমিয়ে রেখেছি
কাকে দেবো? 

নিজের ঘোরের ভেতর নিজেকেই অচেনা ঠাওরাই! 



২)যাবো যাবো করে
এখনো যেতে পারিনি, 

পূর্ব পুরুষদের হাড়ে
 হাড়ে আমাদের স্বপ্নের অঙ্কুরণ হলো,
সাত পুরুষের  ভিটের, নক্ষত্র বিজড়িত মাটি
 দুই মুঠোতে জমা করি,
 মুঠো খুলে'দি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পাত হয়
 কয়েক দিন ধরে।  রাস্তায় খেলে বেড়ায় শ্রাবণ। 
 শতসহস্র সেগুন শরীর থেকে 
 বেজে ওঠা গান ফেলে আর যাওয়া হলোনা 
 
ওই পাহাড় পেরিয়ে ইথারের দেশে।


৩) মনের মাঝে হলুদ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক 
 মাঠের খাতা খুলে জমা করে অবসাদ। 
কে নিয়ে যাবে? তিতির ডাকে ভোর রাতে
ঘুম আসেনা, নক্ষত্র উপকূল থেকে আর।
বুরুডি স্কুলের দিদিমনি ডান হাতে ঘড়ি পরেন

তাঁর বাঁ হাত শুধু বিষাদ বন্ধুর জন্য 
কতোদিন বৃষ্টি হীন আংটি হীন হয়ে
ফুটিয়ে তুলেছে মালাবার শিরা উপশিরা! 





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন